ফের ধর্ষণের অভিযোগ এবার হবিবপুরে। চেম্বারের ভিতরে এক নাবালিকা আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই হাতুড়ে চিকিৎসককে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। হবিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মালদা মেডিক্যেল রেফার করা হয়। নির্জাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয় সূ্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে, ৫৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত চিকিৎসকের বয়স বাড়ি হবিবপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় ছ’কিলোমিটার দূরে একটি চেম্বার রয়েছে তাঁর। নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে তাঁপ পরিচয় রয়েছে। ছ’মাস আগে ওই চিকিৎসক মেয়েকে ডাক্তারি শেখাবেন বলে আদিবাসী নাবালিকার বাবাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কথা মতো তাই মাঝেমধ্যেই ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যেতো নাবালিকা।
নির্যাতিতির বাবার অভিযোগ, ‘‘বুধবার সন্ধ্যার আগে ওই চিকিৎসক মেয়েকে চেম্বারে যেতে বলে। মেয়ে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যায়। তখনই চিকিৎসক মেয়েকে ধর্ষণ করে। বাড়িতে পৌঁছে সব ঘটনা আমাদের জানালে আমরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত চিকিৎসক মালদা মেডিকেলে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Comments :0