Raiganj

পৌর সভার অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন রায়গঞ্জের মানুষ

জেলা রাজ্য

বিশ্বনাথ সিংহ : রায়গঞ্জ
সোমবার জনপ্লাবন আছড়ে পড়ল রায়গঞ্জ পৌরসভায় গেটে। কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় শহরের বিবিডি মোড় থেকে। লাল ঝান্ডার মিছিলে কিছুক্ষণের জন্যে শহর অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মানুষ। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই পৌরসভার সামনে চলে মানুষের বিক্ষোভ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম) রায়গঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক তীর্থ দাস। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডির সদস্য পলাশ দাশ,  শতরূপ ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক, প্রাক্তন পৌরপ্রধান হরিনারায়ণ রায় প্রমুখ। 
বিক্ষোভসভায় পলাশ দাশ বলেন, শহরের নাগরিকদের নানা সমস্যা নিয়ে দেড় মাস ধরে চলছে প্রচারাভিযান। নাগরিকদের সংগঠিত করেই রায়গঞ্জ পৌরসভা অভিযান হচ্ছে। এই পৌরসভায় বড় সমস্যা পৌরসভা নিজেই। ভোট না করে দীর্ঘদিন প্রশাসক বসিয়ে রাখা হয়েছে। এখন অবসরপ্রাপ্তরা পেনশন পাচ্ছেন না, সাফাই কর্মীরা প্রতিমাসে সান্মাসিক পাচ্ছেন না। প্রশাসকদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করে ক্ষমতায় আসলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একটা দায়বদ্ধতা থাকে। তিনি আরও বলেন, আসলে তৃণমূলের আমলে বিপুল টাকা রোজগারের খনি হয়ে উঠেছে পৌরসভা, পঞ্চায়েগুলি। চলছে লুট। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের আধিপত্যে বজায় রাখার জন্যই প্রশাসক বসিয়ে রাখা হয়েছে। লুটের কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্যই পৌরসভার নির্বাচন করা হচ্ছে না। রাজ্যজুড়ে যত চুরি, যত দুর্নীতি হচ্ছে সবের পাহাড়াদার পুলিশ। খুনি, পচা, দাগী আসামী মাটি চোর, বালি চোর, গোরু চোরদের দুর্নীতিবাজদের পাহারাদার এখন পুলিশ।


সভায় শতরূপ ঘোষ বলেন, রায়গঞ্জ শহর ডাস্টবিনের চেহারা নিয়েছে, বেহাল শহরের হাল ফেরাতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনার দাবিতেই এদিনের অভিযান। তিনি বলেন, নাগরিকদের কোনও দাবি শুনতে চায় না রায়গঞ্জ পৌরসভা। তাই শহরের সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানাতে সিপিআই(এম)’র পৌরসভা অভিযান আটকাতে পৌরসভার মূল গেটে ২০ ফুটের বাশ বেঁধে ব্যারিকেড করা হয়। পাশের গেটে তালা দিয়ে রাখা হয়। 
বিক্ষোভসভা চলাকালীন আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশন থেকে ফিরে আনোয়ারুল হক আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন, প্রশাসক ডেপুটেশনের প্রতি সহমত হলেও মেরুদণ্ডটা চটিচাটাদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে। তীর্থ দাস জানিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ফলে গোটা জেলা জুড়ে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন