British Petroleum

মুনাফা করছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম, জ্যান্ত কবরখানায় ইরাকের শিশুরা

আন্তর্জাতিক

British Petroleum

দূষণের কথা স্বীকার করে না ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। বিপুল মুনাফার পোস্টিং করে চলেছে বহুজাতিক তেল সংস্থা। ইরাকের তেলের খনিতে বাতাসে গ্যাস পোড়ানোয় একের পর এক শিশু আক্রান্ত হচ্ছে লিউকোমিয়ায়।
দূষণ কমাতেই জোর আলোচনা চলছে মিশরে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ডাকে চলছে পরিবেশ সম্মেলন ‘কোপ ২৭’। পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য ধনী দেশগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে জোরালো সওয়াল করছে উন্নয়নশীল বিশ্ব। বুধবারই মিশরের বিদেশ মন্ত্রী এবং ‘কোপ ২৭’ সভাপতি শামেহ শৌকরি বলেছেন, ‘‘পরিবেশ তহবিল গড়ার জন্য সহমতের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি সমাধানে পৌঁছানো যাবে।’’ 

 


পরিবেশ আন্দোলনের বিভিন্ন অংশ যদিও বারবারই বলছে যে বহুজাতিক সংস্থাগুলির দায় লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে পরিবেশ সম্মেলনে। অথচ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী বিপজ্জনক গ্যাস বাতাসে মেশানোর ব্যাপারে বেপরোয়া এরাই। মুনাফার জন্য পরিবেশ ধ্বংস করছে। এই বিতর্কের মধ্যেই সংবাদসংস্থা বিবিসি ইরাকে দূষণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আলি হুসেইন জুলুকের কথা। ১৮ বছরের জুলুকও আক্রান্ত লিউকোমিয়ায়। ইরাকের দক্ষিণ অংশে বসরায় তার বাড়ি রুমালিয়া এলাকায়। বসরার হাসপাতালে চিকিৎসার উপায় ছিল না। তুরস্কে চলছে চিকিৎসা। বাবাকে বেচতে হয়েছে জমি। জুলুকই প্রতিবেদকদের জানিয়েছে যে সে কেবল একাই না, রুমালিয়ার ঘরে ঘরে এমন রোগী আছে। ওরা নিজেরাই শহরকে বলে ‘জ্যান্ত কবরখানা’। 
খনি থেকে তেল তোলার সময় ওঠে প্রাকৃতিক গ্যাসও। 

 

বিভিন্ন সংস্থা সরাসরি বাতাসেই জ্বালিয়ে দেয় যদি গ্যাস বাজারে লাভজনক না হয়। খনির ভেতরে চাপ কমাতেও গ্যাস বের করা দরকার। কিন্তু প্রক্রিয়াকরণ যেভাবে করে বিশ্বকে জানায় না ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। পরিভাষায় এই ‘গ্যাস ফ্লেয়ারিং’ বাতাসে মেশায় একাধিক গ্যাস যা তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। মেশে বেঞ্জিন। লিউকোমিয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী এই দহন। বরং বিপুল মুনাফার তথ্য পোস্ট করে শেয়ার বাজারে। 
শেষ ত্রৈমাসিকে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের মুনাফার তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। অথচ তার সামান্য ভাগ, ৩০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেই দূষণের মেঘ সরাতে পারে রুমালিয়া।  

 

Comments :0

Login to leave a comment