Haldia Retrenchment

হলদিয়ায় কর্মী ছাঁটাই কারখানায়, প্রতিবাদে সিআইটিইউ

জেলা

শনিবার হলদিয়ায় ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মিছিল সিআইটিইউ’র।

সিআইটিইউ’র ডাকে শনিবার হলদিয়া বন্দরের অভ্যন্তরে এ এম এন্টারপ্রাইসের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল এবং সংস্থার চিরঞ্জীবপুর অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মিছিলে একটাই স্লোগান ওঠে ‘শ্রমিকদের অবিলম্বে কাজে ফেরাতে হবে’। ‘বন্দর বাঁচাও’ ‘হলদিয়া শিল্পাঞ্চল বাঁচাও’ ‘হলদিয়ার মানুষকে বাঁচাও’ ‘কোনওভাবেই ছাঁটাই মেনে নেওয়া হবে না’।
গত বৃহস্পতিবার ওই সংস্থা ৫০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিসে ছাঁটাই করে বলে অভিযোগ। এরপরই কাজ হারানো শ্রমিকরা তাঁদের পুনরায় কাজে নিয়োগের বিক্ষোভ দেখান। শনিবার সিআইটিইউ’র উদ্যোগে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়। 
হলদিয়ার কারখানাগুলির প্রকার ভিন্ন। মূলত পেট্রোরসায়ন নির্ভর কারখানা হলদিয়া শিল্পাঞ্চলজুড়ে। ভারতের মধ্যে দক্ষ শ্রমিকদের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন হলদিয়ার শ্রমিকরা। অথচ সবথেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হলদিয়ার শ্রমিকরাই। বর্তমানে এই শিল্পাঞ্চলে বিজেপি-কে সুযোগ করে দিচ্ছে তৃণমূলের বাহিনী। আসলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর তার বাহিনীও বিজেপি হয়েছে। তৃণমূল কারখানার তোলা আদায়ে বিজেপি’কে সঙ্গে নিয়েই চলছে। ফলে এই দুই দলের প্রধান কাজ কারখানার কর্তৃপক্ষের হয়ে কথা বলা। যেহেতু হলদিয়ায় এখন মোট শ্রমিকের আশি শতাংশই অস্থায়ী, তাই প্রতিবাদ করার সাহস হয় না তাঁদের। ভয় থাকে কাজ চলে যাওয়ার। 
ইতিমধ্যেই হলদিয়া বন্দরে দুই শতাধিক ঠিকা শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ৫০ জনের বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করাও হয়েছে। সিআইটিইউ’র পক্ষ থেকে একমাত্র এর প্রতিবাদে আন্দোলন করা হচ্ছে। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকার সময় শ্রম আইন অনুযায়ী এই শিল্পাঞ্চলেও ঠিকা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল ঠিকাদার পরিবর্তন হলেও শ্রমিক পরিবর্তন হবে না। তৃণমূল শাসনে সেসবের কোনও বালাই নেই। ঠিকাদার পরিবর্তন হয় এবং তারা এসেই পুরানো শ্রমিকদের ছাঁটাই করে। আর টাকার বিনিময় নতুন শ্রমিক নেওয়া হয়। নতুন শ্রমিক নেওয়ার সুবিধা, পুরানো শ্রমিকের থেকে কম মজুরিতে কাজে রাখা যাবে, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে প্রচুর মুনাফা বাড়ানো যাবে।

Comments :0

Login to leave a comment