দেউচা পাচামীর প্রকল্প ঠিক কী, স্পষ্ট করে কেউ জানে না। রাজ্যের উচিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। তাজপুরের বন্দর নিয়েও রয়েছে অস্বচ্ছতা। চুক্তি সম্পর্কে বিশদে জানানো উচিত।
বুধবার এই দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর কোথায়। দেউচায় প্রকল্প হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে। আন্তর্জাতিক টেন্ডার, আগ্রহপত্র বা চুক্তি সম্পাদনের কোন প্রক্রিয়া পালন করা হয়েছে? রাজ্যের কেউ এই তথ্য জানে না।’’
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বক্তব্য, প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে বেপরোয়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। পরিবেশ বিধি ভাঙা হচ্ছে। সামাজিক নজরদারির শর্ত, স্থানীয় মানুষ যাতে মতামত দিতে পারেন, ভাঙা হয়েছে সেই শর্ত। এরপর আইনকেই বদলে দিয়েছে কেন্দ্র। জল, জমি, জঙ্গলের অবাধ লুট যাতে হতে পারে। কর্পোরেটকে যাতে সম্পদ তুলে দেওয়া যায়। এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসও একই পথে চলছে।
সেলিম বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ভান্ডারে ৫০০ কোটি টাকা ঢেলেছে আদানি গোষ্ঠী। বিজেপি’ও এভাবেই এই অস্বচ্ছতার বিধিকে ব্যবহার করছে। তার বিনিময়ে অবাধে সম্পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে লুটেরা পুঁজির হাতে।’’
ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে নদী, চর, সরকারি দপ্তরগুলির জমি, শিল্পের জন্য জমিতে আবাসন ব্যবসার ফ্রি-হোল্ড চলছে দেদারে। সিপিআই(এম) এই লুটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রয়েছে।
সেলিম বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র আটকেছে বলেই আদানির বেনিয়মের তদন্ত করেনি দেশের বিধিবদ্ধ দন্ত সংস্থা ইডি বা সিবিআই। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক ‘সেবি’-র সংশ্লিষ্ট উপসমিতিতে আদানির ঘনিষ্ঠকে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিকাঠামো একদিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য বিনিয়োগ বা ঋণ দিয়েছে এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক। যেখানে দেশের কোটি কোটি মানুষ সঞ্চয় করেন সারা জীবনের আয়।’’
পশ্চিমবঙ্গে উপকূল রেখার বিস্তার সীমিত। সেখানে মৎস্যজীবীদের জন্য তৈরি তাজপুর বন্দরকে আদানিদের হাতে একই ভাবে দেওয়া হয়েছে। সেলিম বলেছেন, ‘‘বিশদে রাজ্য সরকার জানাচ্ছে না ঠিক কী করা হবে। কতটা জমিতে কী হবে। বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই-ই সঙ্গী আদানির মতো লুটেরা পুঁজির। এই দখলদারির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।’’
Comments :0