চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিসিসিআই এবং রয়্যাল চ্যালেজ্ঞার্স বেঙ্গালুরুকে দায়ী করলো কর্ণাটক সরকার। বুধবার আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজকদের নিশানা করে আইনজীবী বলেন, বিজয় উৎসবে সামাজিকমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজকরা। 
সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী শশী কিরন শেট্টি দাবি করেন সেদিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন, টিকিট বিক্রি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা হয় আরসিবি কর্তৃপক্ষের। গোটা বিষয়টি এই দুই পক্ষের মধ্যে সিমীত ছিল। আরসিবির সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি এবং লেখা আদালতের কাছে পেশ করে আইনজীবী দাবি করেন যে ও ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলা হয় সেদিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে টিমকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। সবার জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ঘোষনাও সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। 
সরকার পক্ষের আইনজীবী আরও দাবি করেন যে সেদিনের অনুষ্ঠান এবং ট্রফি নিয়ে প্যারেডের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। কর্ণাটক ক্রিকেট বোর্ডরে পক্ষ থেকে শুধুমাত্র সরকারকে জানানো হয় যে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান হবে। তবে এখানে প্রশ্ন থাকছে সরকার যদি কিছুই না জানতো তাহলে মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল কেন টিমকে স্বাগত জানানোর জন্য বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। 
ঘটনার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৩৫ হাজারের জায়গা থাকলেও প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। তার ওপর এমন খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে বিনা টিকিটেও দেখা যাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এরপরই বাঁধ ভেঙে বাড়তে তাকে ভিড়। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য চলতে থাকে তুমুল হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের।
পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার পর বলেন যে এই ঘটনার দায় এড়ানো যায় না। তিনি বলেন, নিহত এবং আহতদের পাশে রয়েছে সরকার। 
হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এক সদস্যের কমিশন গড়ে সিদ্দারামাইয়া সরকার। 
পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকাদের, স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা এসিপিকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।