ONE NATION ONE ELECTION

কোবিন্দের নেতৃত্বে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কমিটি গড়ল কেন্দ্র

জাতীয়

রামনাথ কোবিন্দ, ছবি ফেসবুক থেকে।

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কমিটি গড়ল কেন্দ্র। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গড়া হয়েছে এই কমিটি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী শুক্রবার এই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। 

কেন্দ্রের এই ঘোষণার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার আলোচনা জোরালো হয়েছে। মুম্বাইয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। 

বৃহস্পতিবারই কেন্দ্র আচমকা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর হবে অধিবেশন। রাজনৈতিক মহলে অনুমান, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো প্রবল বিতর্কিত পরিকল্পনার আইনি অনুমোদন এই অধিবেশনে পাশ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি সরকার। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ঘেষণা হতে পারে কিছু পরে। 

‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে সব সম্ভাবনাই বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক থেকে রাজ্যে রাজ্যে প্রচারের জন্য সমন্বয় কমিটি, মুখপাত্র বেছে নেওয়া হতে পারে। রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলাদা। এই পার্থক্য বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বামপন্থীরা। 

শুক্রবারই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি’র সভাপতি জেপি নাড্ডা। জানা গিয়েছে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি খতিয়ে দেখবে যে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করা সম্ভব কিনা। বিজেপি’র বক্তব্য, ১৯৬৭’তে একই সময়ে নির্বাচন হয়েছিল। 

একসঙ্গে সব নির্বাচন করতে বিজেপি উঠেপড়ে লেগেছে কারণ দলের মুখ একজনই, নরেন্দ্র মোদী। বস্তুত রাজ্যস্তরের নেতাদের গুরুত্ব হ্রাস করে মোদীকে সামনে রেখেই প্রচার চলছে। যে প্রচার গুরুত্ব ধাক্কা খেয়েছে কর্ণাটকের মতো একাধিক রাজ্যে। দেশের সঙ্গে রাজ্যগুলির ভোট করা হলে একই প্রচারে ফলাফলে প্রভাব ফেলা সম্ভব বলে মনে করছে বিজেপি। 

এ বছরেরই শেষে ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে নির্বাচন রয়েছে বিধানসভার। কোনও রাজ্যেই বিজেপি’র অবস্থা যথেষ্ট সবল নয়। 

বামপন্থীদের পাশাপাশি বিরোধী বিভিন্ন দলই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-র নামে কর্তৃত্ব কায়েমের রাজনীতির বিপক্ষে। ঐতিহাসক কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে মাঝে সরকার পড়ে গিয়েছে, কখনও কোনও কোনও রাজ্য বিশেষ পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন এগিয়ে এনেছে। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারই মেয়াদের আগে নির্বাচন করানোর জন্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিরোধীরা বিভিন্ন সময়েই বলেছে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং সংবিধানে বৈচিত্র রয়েছে। বিজেপি এই বৈচিত্রকে ভাঙতে চায়।

সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্তরে এই সক্রিয়তার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে বিশারদদের সঙ্গে কথা বলবে কোবিন্দের কমিটি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment