রণদীপ মিত্র: সিউড়ি  

দুষ্কৃতীদের হাতে তছনছ হয়েছিল কার্যালয়। তিনদিনের মাথায় ফের তা গড়ে তুললেন সিপিআই(এম) কর্মীরা। 
দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের কাছে নতি স্বীকার নয়, বরং দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরই বার্তা মিলেছে তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা এই এলাকার সিপিআই(এম) কর্মীদের প্রত্যয়ী মনোভাবে। সিউড়ি শহরের বড়বাগান-১ এলাকার পল্লী মোড়ে দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর যাবৎ রাস্তার ধারে থাকা   অস্থায়ী কার্যালয় রাতের অন্ধকারে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বাঁশের বাতা, মাথায় টিন চাপানো অস্থায়ী ছাউনিটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এলাকায়। এখান থেকেই এলাকার এলাকায় সিপিআই(এম)’র কাজকর্ম পরিচালিত হয়ে থাকে। এর আগে,  ঝড়ে ভেঙে যাওয়ার পর সেটিকে সংস্কার করা হয়েছিল গত ৯ জুন। গত বুধবার রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা সেটিকে ভেঙে দিয়েছে। এ ধরণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। কার্যালয়ের মধ্যে থাকা পোস্টার, ব্যানার, নষ্ট করা, ভেঙে দেওয়া, ফ্ল্যাগ ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের শিকার হওয়া কার্যালয়ে বৃহস্পতিবারই ফের পতাকা টাঙিয়েছেন সিপিআই(এম) কর্মীরা। শনিবার সেটিকে সংস্কার করে ফের আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেখানে ‘গণশক্তি’ পত্রিকাও সাঁটানো হয়েছে। 
ভাঙচুড়ের ঘটনার পর সিপিআই(এম) নেতৃত্ব এলাকায় গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সিউড়ি থানার নজরে বিষয়টি এনে সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার দাবি করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পুলিসের সাড়া মেলেনি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন সিপিআই(এম) বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ।