নিষিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র কেন? তা’হলে কী পরিকল্পনা করে আমেরিকা মেক্সিকোয় সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে?
বিচারব্যবস্থার সামনে এই প্রশ্ন তুলতে চলেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী ক্লডিয়া শেনবম বলেছেন, আমাদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে বাইরের কারও হস্তক্ষেপ মানব না। কারও নাক গলানোর চেষ্টাও বরদাস্ত করা হবে না।
মেক্সিকো-আমেরিকা দ্বন্দ্ব ফের তীব্র হয়েছে ‘ড্রাগ কার্টেল’ ঘিরে ডোনাল্ট ট্রাম্প প্রশসনের সিদ্ধান্তে। মেক্সিকোর একাধিক কুখ্যাত ‘ড্রাগ কার্টেল’ মার্কিন বিদেশ দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে। তার মধ্যে কুখ্যাত সিনলোয়া কার্টেল, নর্থইস্ট কার্টেলও রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলছেন, মেক্সিকোর এমন ড্রাগ কার্টেল সর্বদা দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে আঘাত করেছে। বস্তুত আইনের শাসনের প্রতিটি শর্ত দমিয়ে দিতে চেয়েছে অস্ত্র আর অর্থের জোরে। বামপন্থী শেনবম প্রশাসন গোড়া থেকেই এই সংগঠিত দুষ্কৃতীবাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে বছরে মেক্সিকোর ৩ লক্ষ মানুষ মারা যান ড্রাগ কার্টেলের হামলায়। আর ট্রাম্পের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্ট মিশেল ওয়ালৎজ বলেছেন যে এই ড্রাগ কার্টেলের হাতেই মেক্সিকোর ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড। এই যুক্তিতেই বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিতে চলেছে বলে অনুমান মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-র।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আখ্যা দেওয়ার পরই আমেরিকা সন্ত্রাস দমনের নামে হস্তক্ষেপ করতে চাইবে মেক্সিকোর ভেতরে। শেনবম সে কারণেই আপত্তি তুলছেন।
শেনবম বলেছেন, অন্য দেশের উপদ্রবকে সন্ত্তাসবাদী গোষ্ঠী চিহ্নিত করা কোনও কাজের কথা নয়। বরং আমেরিকাকে দেখতে হবে ড্রাগ কার্টেলের চাঁইদের হাতে তাদের দেশে তৈরি অস্ত্র কেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার বিচার বিভাগের রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে ৭৪ শতাংশ অস্ত্র আমেরিকার তৈরি। শেনবম প্রশ্ন তুলেছেন যে পরিকল্পনা করেই অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে বছরের পর বছর?
মেক্সিকোর প্রশাসনের সূত্রের উল্লেখ করে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে বিচারব্যবস্থায় এই প্রশ্ন তুলতে পারে মেক্সিকোর প্রশাসন।
US Mexico Drug
মেক্সিকোর ড্রাগ কার্টেলের ৭৪% অস্ত্র আমেরিকার, শেনবমের মন্তব্যে ঝড়
![](https://ganashakti-new-website.s3.ap-south-1.amazonaws.com/24164/67b062a96e7f7_Mexico-Claudia.jpg)
×
Comments :0