TURKEY EVACUATION

নিহত ৫১৫০, তিন মাসের জরুরি অবস্থা তুরস্কে

আন্তর্জাতিক

TURKEY EVACUATION

ভেঙে রয়েছে একের পর এক রাস্তা। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছে। মাঝে মধ্যে হচ্ছে তুষারপাতও। ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া আফরিন বা হাতায়ে পদে পদে সমস্যায় পড়ছে উদ্ধারের কাজ।

মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি হিসেব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ১৫০। টানা তিন মাস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তুরস্ক। রাষ্ট্রপতি রেসেপ তায়িপ এরদোগান এদিন টেলিভিশন বার্তায় বলেছেন, ‘‘ত্রাণ ও উদ্ধারের প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সারার চেষ্টা হচ্ছে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বলেই টানা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হচ্ছে।’’  

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণকর্মীরা। তিনটি চার্টার বিমানে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। দুবাই থেকে ত্রাণ পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই শাখার মহানির্দেশক টেড্রস আধানম গেব্রেয়েসুস আক্রান্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছানোর ওপর জোর দিয়েছেন। 

সড়ক পথে পৌঁছানো কঠিন, জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক ওরহান তাতারও সেই সমস্যা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তাতার বলেছেন, ‘‘বুঝতে পারছি যে মানুষ আটকে আছেন। কিন্তু ধুলোবালি বা কংক্রিটের ভেঙে পড়া চাঙড় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুত করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ 

সোমবার দু’বার গুরুতর মাত্রায় কম্পন হয়েছে তুরস্কে। একটি ভোরে, রিখটার স্কেলের তার মাত্রা ছিল ৭.৮। বিপর্যয়ের ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগে ফের দুলুনি শুরু হয় দুপুরে। পরেরবার ভূকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬। 

তুরস্কের দক্ষিণ অংশ এবং সিরিয়ার উত্তর অংশের একের পর এক জনবসতি মাটিতে নেমে এসেছে। কংক্রিটের চাঙড়, ভেঙে পড়া বাড়ির বেরিয়ে পড়া লোহার খাঁচা আর ধ্বংসস্তূপ ঘিরে প্রিয়জনের খোঁজে দিশেহারা মানুষ- মর্মান্তিক একের পর এক দৃশ্য স্থবির করে দিয়েছে পোড় খাওয়া ত্রাণ কর্মীদেরও। 

সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, তুষারপাত আর হিমাঙ্কের কাছে তাপমাত্রাও কাজ কঠিন করে দিচ্ছে। স্বাভাবিক সময়েও এই পরিবেশে জনজীবন থমকে যায় প্রায়। সেখানে এমন বিপর্যয়ে কাজ চালানো দুরূহ। রাস্তা খারাপ হয়ে পড়ায় ত্রাণ বা সরঞ্জাম নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তুরস্কের হাতায় বা সিরিয়ার আফরিনে একই ছবি। 

 

Comments :0

Login to leave a comment