নুহতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যাত্রা কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হলো হরিয়ানা পুলিশ। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে জি-২০ বৈঠকের আগে দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলে অশান্তির সম্ভাবনা না রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিভিন্ন অংশেরই অভিমত, যাত্রা ঘিরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল। যাত্রা বাতিল করার দাবিও জানিয়েছে। যার জেরে এই সিদ্ধান্ত।
৩১ জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরঙ দলের ‘জলাভিষেক’ যাত্রা ঘিরেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায় গুরগাঁও সংলগ্ন নুহতে। বিজেপি সরকারের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখেও পড়েছে। হিংসায় নিহত হয়েছেন ৬ নাগরিক। শনিবার যাত্রা ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছিল হরিয়ানা প্রশাসন। প্রশ্ন ওঠে যাত্রা বন্ধ করা হচ্ছে না কেন।
ওই দিনই রাজস্থানের আলোয়ারে কৃষক মহাপঞ্চায়েত করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। যাত্রার নামে আরএসএস’র শাখা সংগঠন সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ালে ট্রাক্টরের সারি নিয়ে রাস্তা অচল করার ডাক দেয়। নুহ এবং গুরগাঁওয়ে হিংসার আবহে হরিয়ানার জিন্দ, হিসারের মতো একাধিক জেলায় শান্তির এবং সম্প্রীতি রক্ষার দাবি তুলে মহাপঞ্চায়েত করেছে শতাধিক কৃষক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
সোমবার হরিয়ানা প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে ‘জলাভিষেক’ যাত্রা বন্ধ করা হচ্ছে। এমনকি উত্তেজনায় উস্কানি দিতে অভ্যস্ত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা মনোহর লাল খট্টর মিছিল না করার পক্ষে সরাসরি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বর্ষার সময়ে ‘জলাভিষেক যাত্রা’ নতুন বিষয় নয়। তবে অশান্তি ছড়িয়ে এর আগে। নিজের নিজের মন্দিরে গিয়ে পুজো করুন।’’
গত শনিবার ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যাত্রায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সোমবার সরাসরি তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় নলহর মন্দির থেকে যাত্রা শুরু কথা ছিল। ৩১ জুলাই হিংশা ছড়িয়েছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির ‘জলাভিষেক যাত্রা’ থেকেই।
নুহতে ৩-৭ সেপ্টেম্বর জি-২০ গোষ্ঠীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। তারপরই দিল্লিতে হবে শীর্ষ বৈঠক। থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। প্রশাসন জানিয়েছে, বৈঠকের আগে অশান্তি না ছড়ানোর বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
Comments :0