আরজি কর হাসপাতলে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ৯০ দিনের মাথায় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের তরফে আবারো এক মহা মিছিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শনিবার দুপুর তিনটের সময় কলেজস্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই মিছিল হয়। চিকিৎসকরা ছাড়াও বহু অংশের সাধারণ মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।। তাঁদের মূল যে বক্তব্য ঘটনার ৯০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও কেন সিবিআই নির্দিষ্ট করে দোষীদের চিহ্নিত করতে পারছে না।
মিছিল থেকে স্লোগান উঠছিল 'আর কতদিন সময় চাই, জবাব দাও সিবিআই'। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফন্টের সদস্য দেবাশীষ হালদার বলেন, "প্রাথমিক ভাবে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। প্রাইমারি চার্জশিটে যেটুকু জানা গেছে তাতে যথেষ্ট হতাশার কারণ রয়েছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেটা টালা থানার ওসি হতে পারে অথবা সন্দীপ ঘোষও হতে পারে। তাদেঁর কোনও নাম বা কোথাও উল্লেখ নেই সেই চার্জশিটে। অবশ্যই সিবিআই এর প্রতি আমাদের যে আস্থা সেটা কোথাও গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে। সেই জন্য আমাদের রাস্তায় থাকা জরুরী, আন্দোলনে থাকা জরুরি। একটা সংবেদনশীল মামলার শুনানি বারবার পিছিয়ে দেওয়া যায় না। যদি এই মামলা শুনানি বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মামলার ক্ষেত্রে কি পরিস্থিতি হয় সেটা বোঝাই যাচ্ছে"।
সিবিআই সিবিআই যে প্রাথমিক চার্জশিট দিয়েছে, সেইচার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ের নাম রয়েছে। সিবিআই এর চার্জশিট এবং তদন্ত প্রক্রিয়া তারা চালাচ্ছে তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না চিকিৎসকরা। চার্জশিটে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ের নাম থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা ডাক্তার উৎপল ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি এই ঘটনা শুধুমাত্র সঞ্জয় রায় ঘটানো সম্ভব নয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা যারা এই ঘটনায় তথ্য-প্রমাণের ও অভয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনতে হবে"।
সমাজ কর্মী মিরাতুল নাহার বলেন, "আমি একজন নাগরিক হিসাবে এই মিছিলে এসেছি। আমি মনে করছি মুখ্যমন্ত্রী চরম ব্যর্থ। ঘটনার তিন মাস হয়ে যাওয়ার পরও সরকার প্রথম থেকে যেভাবে আন্দোলনকে আটকানোর চেষ্টা করেছে, যা চরম হতাশা জনক। তিনি আরো বলেন এই শাসন ব্যবস্থা আর এক দিনও মেনে নেওয়া উচিত হবে না।
Comments :0