US BASE ATTACK IRAQ

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় নিল ইরাকের গোষ্ঠী

আন্তর্জাতিক

জর্ডন-সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাতের দাবি জানালো ইরাকের একটি গোষ্ঠী। ‘ইসলামিক রেসিসট্যান্স ইন ইরাক’ নামে এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সোমবার বিকেলে বিবৃতি দিয়েছে। রবিবার রাতের ড্রোন হামলায় আমেরিকার তিন সেনা নিহত আরও ৩৪ গুরুতর আহত। ইরান রাষ্ট্রসঙ্ঘে সরকারিভাবে হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন যদিও হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করছেন। তিনি পালটা আঘাতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। 
ইরান আমেরিকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরএনএ জানাচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইরানের কূটনীতিবিদদের তরফে গোটা ঘটনার সঙ্গে কোনও সংযোগ না থাকার দাবি জানানো হয়েছে। 
গাজায় ইজরায়েলের অবিরত হামলায় প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আরবে একাধিক মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা গত কয়েকমাসে হয়েছে। তবে, ৭ অক্টোবরের পর, এই পর্বে কোনও মার্কিন সেনার প্রাণ যায়নি। ৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু এবং ৩৪ জনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাতের ক্ষেতর আরও চওড়া করবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। 
জর্ডান জানিয়েছে হামলা তাদের সীমান্তের ঠিক বাইরে সিরিয়ার মাটিতে হয়েছে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কান্নানি বলেছেন, ‘‘আমেরিকা অভিযোগ তুলছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে। পশ্চিম এশিয়ার বাস্তবতাকে উলটো করে দেখাতে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’ 
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দিনই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। ইজরায়েলের সমর্থনে রণতরীও পাঠাতে দেরি করেনি আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ার ভূখণ্ডে আমেরিকা একাধিক সেনাঘাঁটি আগে থেকেই ছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকাই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছে। ইজরায়েলের আক্রমণে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ এর মধ্যে নিহত হয়েছেন পালেস্তাইনের গাজায়। 
বিডেন প্রেস বার্তায় কড়া সুরে বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে। কখন এবং কিভাবে ধরব, ঠিক করব আমরা।’’

Comments :0

Login to leave a comment