GST Trump Congress

ট্রাম্পের খবরদারির আওতায় জিএসটি-ও, অভিযোগ কংগ্রেসের

জাতীয়

ভারতের কর বসানোর অধিকারে নাক গলাচ্ছে আমেরিকা। পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি বসানোতে আমেরিকার সেই আপত্তি কি মেনে নিয়ে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? নরেন্দ্র মোদীর কাছে, বুধবার,এই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশ এদিন দাবি করেছেন যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পালটা শুল্ক’ হুমকির আওতায় রয়েছে ভারতের জিএসটি-ও। 
রমেশ বলেছেন, ‘‘আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে জিএসটি বসানোর শর্তও ঠিক করে দিচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। প্রশ্ন কেবল কোনও কর ব্যবস্থার নয়। আসল প্রশ্ন ভারতের সার্বভৌমত্বের।’’
মার্কিন সফরে সদ্যই শেষ করেছেন মোদী। কিন্তু তাঁর সফর শুরু আগেই কড়া শর্ত চাপিয়ে দেন ট্রাম্প। ভারতের আমদানি শুল্ক বেশি, এই যুক্তি পালটা কর বসানোর ঘোষণা করেছেন ভারত থেকে পৌঁছানো সব পণ্যে। 
বৈঠকের পর ভারত যদিও দাবি করেছে যে কর কাঠামো পর্যালোচনায় দু’পক্ষে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মহলই মনে করছে মোদী আসলে ট্রাম্পের শর্ত মেনে নিয়ে ফিরেছেন।
মোদীকে ঘিরে মার্কিন অনুগত বিদেশনীতি চালানোর অভিযোগ আরও দৃঢ় হয়েছে পরপর সামরিক বিমানে ভারতীয়দের অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করে আমেরিকা ফেরত পাঠানোয়। মোদী সরকার এখনও পর্যন্ত সরবে হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর মতো আচরণের বিপক্ষে কড়া অবস্থান নেওয়ার সাহস দেখায়নি। 
এদিন রমেশের বক্তব্য, পালটা শুল্কের ভয়ে আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে জিএসটি বসানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানি শুল্ক কেন্দ্র ঠিক করলেও জিএসটি’র হার চূড়ান্ত হয় কেন্দ্র এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গড়া কমিটিতে। 
রমেশ বলেছেন, ‘‘মোদী সরকারের জিএসটি’র আমরা বিরোধী। সরল এবং সহজ কর কাঠামোর দাবিও তুলছি। কারণ জিএসটি-তে নাকাল হচ্ছেন নাগরিকরা। কিন্তু সেই কর কাঠামো সরল করার সিদ্ধান্ত তো ভারতের মধ্যেই হওয়ার কথা। আমেরিকা তা চাপিয়ে দিলে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়।’’

Comments :0

Login to leave a comment