Post Editorial

জেমস বন্ড অথবা মেজদা, প্রাণ যাচ্ছে উলুখাগড়ার

রাজ্য

পার্থপ্রতিম বিশ্বাস 

শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে সম্প্রতি রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যের রাজ্যপালকে হলিউডি নায়ক জেমস বন্ডেরসাথে তুলনা করেছেন। জেমস বন্ডছিল বিংশ শতাব্দীর বিদেশী বাহুবলী জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। হলিউডের জগতে বর্তমান রাজ্যপালের অভিনয়ের পর্যাপ্ত তথ্য এখন অপ্রকাশিত তবে টলিউডের জগতে রাজ্যের মন্ত্রীমশাইয়ের উপস্থিতি এবং সাফল্য রাজ্যবাসীর পরিচিত। বিগত দশ বছর পরিবর্তনের অছিলায় বাহুবলে যেভাবে রাজ্যে উচ্চশিক্ষায় গণতন্ত্রের কাঠামোগুলি ধ্বংস হয়েছে দিনে দুপুরে জনসমক্ষে সেখানেও জেমস বন্ডেরচলচ্চিত্রের ছায়া দেখেছে রাজ্যের মানুষ। এমনকি রাজ্যের অলি গলিতে জেমস বন্ডের ছোট সংস্করণ হিসাবে শাসক দলের নেতা-কর্মী, মন্ত্রী-বিধায়কদের যে বীরত্ব রাজ্যের মানুষ দেখে চলেছে প্রতিদিন ভর্তি থেকে ফল প্রকাশ, কিংবা নিয়োগ থেকে বদলি  তাতে উদ্বেগের মাত্রা বেড়েছে বই কমেনি। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী মশাইয়ের আচার্যের উদ্দেশে করা এমন উপহাস বার্তা দেশে বিদেশে রাজ্যের শিক্ষার মান এবং পরিবেশ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়াবে বলেই আশঙ্কা ! 

নিয়ন্ত্রণের বর্ণ পরিচয়

কার্যত গত এক দশক জুড়ে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদের আবহে যে পরিমাণ সময়ের অপচয় ঘটেছে রাজ্যের প্রশাসনে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেটাও গোটা দেশের নিরিখে এক রেকর্ড। কার্যত শরৎচন্দ্রের ফেল করা মেজদাযেমন সন্ধ্যে হলেই কচি কাঁচা পড়ুয়াদের বাগে আনতে থুথু ফেলাথেকে শুরু করে জল খাওয়াসবেতেই চিরকুটের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতেন ঠিক তেমনি মেজদাসুলভ ঢঙে রাজ্যের সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বাগে আনতে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে ২০১৭ সালে বিধানসভায় নতুন আইন পাশ করে। সেই নিয়ন্ত্রণের আইন বলে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠক্যাম্পাসের যাবতীয় ক্ষেত্রে একচ্ছত্র হস্তক্ষেপের সরকারি অধিকার আরোপের ব্যবস্থা সারা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনও ক্ষেত্রে যথেচ্ছ সরকারি হস্তক্ষেপের আইনি সুযোগ একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের কাঠামোতে শেষ পেরেক পুঁতে দিল তেমনই আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার যে যে প্রথা প্রকরণ ছিল সেগুলিও ক্রমে ক্রমে বিশ বাঁও জলে পড়ল। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের যে প্রথা ছিল, সেটা ঐ সর্বগ্রাসী আইনের থাবায় একের পর এক উপাচার্য অবসর নিলেও তাঁদেরকে নিয়ম ভেঙে সেই পদে রেখে দেওয়া শুরু হলো। আবার কোথাও উপাচার্যের শূন্যপদে নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করা হতে লাগল। কার্যত গত কয়েক বছরের এমন নিয়োগে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়া রাজ্যের সরকার প্রথম চালেঞ্জের মধ্যে পড়ে রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালের আমলেই। বস্তুত এবারের সরস্বতী পূজায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যপাল তাঁর বহুমূল্যের হাতে খড়িসম্পন্ন করার পর থেকে তিনিও রাজ্য সরকারের এই অতি পরিচিত অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণের রাজনীতির বর্ণ পরিচয়পাঠ সেরে ফেলেছেন। আর সম্ভবত এই কারণেই আবার নতুন করে রাজভবন এবং বিকাশভবনের মধ্যে নতুন বিবাদের জন্ম হলো রাজ্যে।

আচার্যউপাচার্য-রাজ্য

এদেশে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালিত হয় সাধারণ মানুষের করের টাকায়, সুলভে উন্নত মানের উচ্চ শিক্ষা সমাজে প্রসারিত করার লক্ষ্যে। সেই উদ্দেশ্যে আইনসভায় পাশ করা আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় স্বশাসিত সংস্থার মডেলে। সেই স্বশাসনের মডেল মূলত উপাচার্য কেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালকমণ্ডলীর কার্যকরী প্রধান হিসাবে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার যাবতীয় কাজের নেতৃত্বে থাকেন উপাচার্য আর আচার্য হন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অভিভাবক এবং আনুষ্ঠানিক প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের আচার্য এবং উপাচার্যের দায়িত্ব এবং অধিকার সুস্পষ্ট। সেখানে চাইলেও আচার্য, পদমর্যাদায় উপাচার্যের ওপরে অধিষ্ঠিত হলেও তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না, যেমনটি পারেন না উপাচার্য আচার্যের অধিকার ভোগ করতে। ফলে উপাচার্য কেন্দ্রিক মডেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাথায় উপাচার্যের অনুপস্থিতি সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী নেতৃত্বে শূন্যতা তৈরি করে। তাই কালের নিয়মে উপাচার্য অবসর নিলে, প্রয়াত কিংবা অপসারিত হলে রাজ্য সরকারেরই প্রাথমিক দায় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের। পাশাপাশি এমন স্থায়ী নিয়োগ না হওয়া অবধি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রাথমিক দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের। কিন্তু স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী যে কোনও উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্য এবং রাজ্য সরকারের পারস্পরিক আস্থা এবং সমন্বয় জরুরি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বিকাশ ভবন থেকে রাজভবনের আসন যাঁরাই অলংকৃত করছেন তাঁদের পদাধিকার বলে তাঁরা  উভয়পক্ষই নিয়ন্ত্রণের রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছেন। ফলে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বন্ধ রেখে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের যে শর্ট কার্টপথ একসময় রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, কার্যত আচার্য এখন সেই পথেই হেঁটে চলেছেন।  ফলে বাড়ছে সংঘাত রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের। এখন  প্রতিদিন নিয়ম করে  রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আদেশ আসছে রাজ্য সরকার নয় কেবল আচার্যের আদেশ মান্য করতে। আবার মুহূর্তের মধ্যেই পালটা বিকাশ ভবনের জারি করা আদেশে বলা হচ্ছে রাজভবনের নির্দেশ উপেক্ষা করতে। কার্যত উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এ এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের সরকার হুমকির সুরে ঘোষণা করেছেন যে আচার্য কি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন জোগাবেন সেটা তারা দেখে নেবেন ! ফলে একেবারে রাজায় রাজায় যুদ্ধে উলুখাগড়ার প্রাণ যাওয়ার হাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম্পাসে। 

স্থায়ী বনাম অস্থায়ী উপাচার্য

এই মুহূর্তে দেশের মানচিত্রে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী এই রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যার কোনোটিতেই স্থায়ী কোনও উপাচার্য নেই। এমন প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এক বিশেষ নির্দেশকে ঢাল বানিয়ে ডজন ডজন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন মাননীয় আচার্য। পরিস্থিতির কারণে স্থায়ী উপাচার্যের পদে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রয়োজন হলে বিবেচনায় রাখা উচিত যে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার নিরিখে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী উপাচার্যরা যেন একই মাপকাঠির ভিত্তিতে নিযুক্ত হন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে উপাচার্য স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী যাই হোন না কেন তাঁদের উভয়কেই উপাচার্যের গুরুভার পালন করতে হবে এই কঠিন সময়ে। ফলে সেই প্রেক্ষিতে এক যাত্রায় পৃথক ফল অনাকাঙ্ক্ষিত। অথচ এমন সঙ্কটময় সময়ে আচার্য কোথাও প্রাক্তন বিচারপতি, কোথাও প্রাক্তন আমলাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে চলেছেন। এটা বোঝা প্রয়োজন যে, উচ্চশিক্ষার নাড়ি নক্ষত্রের সাথে যোগ না থাকলে প্রতিষ্ঠানে বহুস্তরীয় গণতন্ত্রের স্বরূপ উপলব্ধি করা ভিন্ন পেশার মানুষের জন্য প্রবল চ্যালেঞ্জের। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার রসায়ন আয়ত্ত না করতে পারলে বাইরে থেকে উড়ে এসে প্রশাসনের শীর্ষ পদে জুড়ে বসলে স্বশাসন এবং সুশাসন উভয়ই ব্যাহত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। ফলে কেবল যান্ত্রিক ভাবে বিধি ভঙ্গের আঙ্গিকে না দেখেও  এমন নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় যে, দেশে কিংবা রাজ্যে উপাচার্য পদের জন্য শিক্ষাবিদ কি কম পড়িয়াছে

আচার্যের স্বশাসনের উদ্বেগ কিন্তু

মাননীয় আচার্য সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার রক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে  সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে জোরালো মত প্রকাশ করেছেন যেটি যথার্থ। সরকার রাজ্য কিংবা কেন্দ্র নির্বিশেষে প্রতিদিন বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের নামে যে নিয়ন্ত্রণের ফাঁস তৈরি করছে তার থেকে মুক্ত না হলে প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। কিন্তু এই রাজ্যে ২০১৭ সালে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণের কালা আইন থেকে শুরু করে, সার্চ কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি উৎখাত করা কিংবা উপাচার্য নিয়োগের নতুন নিয়ন্ত্রণের আইন সমেত গত এক দশকে তৃণমূল সরকারের আমলে যত শিক্ষার বিপদের আইন পাশ হয়েছে কার্যত তার প্রতিটি বিনা প্রশ্নে, বিনা বাক্যব্যয়ে এই রাজ্যের আইন বিশেষজ্ঞ রাজ্যপাল এবং আচার্যকুলেরা সেই সব আইনে রাজভবন থেকে সিলমোহর লাগিয়েছেন। আজ আচার্যের গলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন কিংবা সুশাসন সম্পর্কে যে উদ্বেগ বেরিয়ে এসেছে সেই উদ্বেগের কণা মাত্র অতীতে আচার্যকুলের দৃপ্ত কণ্ঠে ধ্বনিত হলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে আজকের মতো করুণ চিত্র দেখতে হতো না ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে। এই প্রেক্ষিতে আজ স্থায়ী উপাচার্যের পরিবর্তে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে কেবল ক্যাম্পাসে শূন্যস্থান পূরণের নিষ্পাপ উদ্যোগ কার্যকরী হচ্ছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।

উপাচার্য কেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

রাজ্যের সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে দিয়ে পরিকল্পিতভাবেই  উপাচার্য নির্ভর এককেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। এখন সেই ব্যবস্থাটাই অস্থায়ী উপাচার্যদের দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহাল রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজভবন থেকে। এমন শাসনের প্রভাব সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার মান উভয়কেই লঘু করে তুলবে। খেয়াল রাখতে হবে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে  স্থায়ী উপাচার্যের পাশাপাশি নেই স্থায়ী পরিচালন বিধি, নেই কোর্ট-কাউন্সিল, সেনেট-সিন্ডিকেটের মতো স্থায়ী পরিচালন ব্যবস্থা, নেই যথেষ্ট স্থায়ী শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর পদ অথচ রাজ্যে বিরাজমান এক স্থায়ী সরকার! ফলে এমন এক অস্থায়ী নড়বড়ে প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে কি করে সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্থায়ী উৎকর্ষ অর্জনের পথ ? মনে রাখা উচিত যে, কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলি  শূন্য হয়ে থাকলে সেই প্রশাসনের শাখা প্রশাখা যে শূন্যেরই জন্ম দেবে এটা বুঝতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরপ্রয়োজন হয় না।   

স্থায়ী পদের দায়বদ্ধতা

যে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় স্থায়ীপদের যে দায়বদ্ধতা থাকে সেটি অস্থায়ী ব্যবস্থায় প্রত্যাশা করা সমীচীন নয়। ফলে সরকার পোষিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বজায় রাখা এবং তার উত্তরণ ঘটাতে প্রয়োজন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার যাবতীয় খামতি দ্রুত পূরণ করা। আর সেই দায় আচার্য এবং রাজ্যের সরকার উভয়েরই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আজ প্রশ্নটা কেবল একজন দক্ষ এবং যোগ্য প্রশাসককে আইন মেনে খুঁজে বের করা নয়। বরং তেমন একজন দক্ষ এবং যোগ্য প্রশাসকের দ্বারা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-শিক্ষককর্মী- আধিকারিকদের যৌথ অংশগ্রহণ। প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা, ভরসার পুনর্নির্মাণের। সন্দেহ নেই সাম্প্রতিককালে রাজ্যে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি সরকারি শিক্ষায় নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আপামর রাজ্যবাসীর মনে। সেই প্রেক্ষিতে  আচার্যরাজ্য সরকারের প্রাত্যহিক রাজনৈতিক সংঘাতের পথ ছেড়ে আশু প্রয়োজন রাজ্যের উচ্চশিক্ষার স্বার্থে, কোটি কোটি মেধাবী পড়ুয়াদের স্বার্থে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে হারিয়ে চলা আস্থা উদ্ধারের। প্রয়োজন এই প্রাত্যহিক নৈরাজ্যের দ্রুত অবসান।

Comments :0

Login to leave a comment