CITU Haldia

চাই লাগাতার আন্দোলন, মোকাবিলা করতে হবে কর্পোরেট হিন্দুত্বের, আলোচনায় বলছেন প্রতিনিধিরা

রাজ্য

অরিজিৎ মণ্ডল : হলদিয়া

 

সিআইটিইউ ১৩ তম রাজ্য সম্মেলন দ্বিতীয় দিনে কাজ শুরু হয় সকাল ১০:৩০। সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা সম্পাদকীয় প্রতিবেদন উপর আলোচনা শুরু হয়। এরপর সভাপতি মন্ডলী বলেন আলোচনার মাঝেই বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপিত হবে এবং সমর্থনের জন্য পাস করা হবে। 

বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের যে পৈত্রিক বাড়ি তা ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপিত হয় সিআইটিইউ’র রাজ্য সম্মেলনে। এছাড়াও প্রস্তাব তোলা হয় যেভাবে জায়নবাদী হামলা চালাচ্ছে। প্যালেস্টাইন, গাজায় তার বিরুদ্ধে দুনিয়ার মুক্তিকামী শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে। 

সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা তে প্রথম উঠে আসে শ্রমজীবী মহিলাদের লড়াই বিভিন্ন কথা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক প্রতিনিধি জানান ট্রেডি ইউনিয়নে আন্দোলনে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিভাজন যত বাড়ছে মহিলাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। সেই প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে আমরা বারংবার চেষ্টা করছি ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সংগঠিত শিল্পের স্থান ছিল অনেক বেশি। বর্তমানে সেই সংখ্যা নেই। কয়েকটি মাত্র চটকল পর রয়েছে। একাধিক সাফল্য রয়েছে আন্দোলন করতে গিয়ে। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে কিছু ঘাটতি থাকলে সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হবে। নির্দিষ্টভাবে শ্রমজীবী মহিলা লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ বাড়াবো। মহিলা শ্রমজীবী মহিলাদের প্রধান যে দাবি কর্মক্ষেত্রে শৌচালয় নিরাপত্তা সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদির দাবিতে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শ্রমপুর শুধুমাত্র সংগঠিত শ্রমিকদের ওপর নামছে এমন আমরা দেখতে পাচ্ছি অসংগঠিত শ্রমিক ক্ষেত্রগুলিতে এর ধারাবাহিক প্রভাব পড়ছে। 

মুর্শিদাবাদের এক প্রতিনিধি তাদের জেলায় বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের কথা বলেন। বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের ধারাবাহিকভাবে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে মূলত গ্রামের গরিব অংশের মহিলারা বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধেন কিন্তু যখনই মজুরি বাড়ানোর প্রশ্ন ওঠে মালিকদের একটা অনীহা থাকে। ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে দৈনিক ২৬ টাকা মজুরি বাড়ানো গেছে। যদিও মনে হতে পারে এই ২৬ টাকা কিছু নয়। কিন্তু গ্রামের মহিলারা যে ভাবে বেরিয়ে এসে মিছিল করেছে তা অভাবনীয়। বিভিন্ন সেক্টরে আমরা আন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছি কিন্তু ধারাবাহিকতার সমস্যা থাকছে। আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে থাকলে হবে না লাগাতার জঙ্গি আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। 

কর্পোরেট হিন্দুত্বের আঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সম্মেলনের আলোচনায়। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে ভাবে লাগাতার কর্পোরেটের হাতে ক্ষমা হস্তান্তর করা হচ্ছে তাতে আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণি। তার সাথে কর্পোরেটের শোষনের বিরুদ্ধে যাতে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তার জন্য তাদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে এসেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment