NAUSAD SIDDIQUI JAIL

এবার খুনের চেষ্টার অভিযোগ নওসাদের বিরুদ্ধে
তীব্র প্রতিবাদ

রাজ্য কলকাতা

CPIM LEFT FRONT WEST BENGAL PANCHAYAT ELECTION TMC CORRUPTION ISF BENGALI NEWS

আরও একবার জামিনের আবেদন খারিজ হল নওসাদের। বুধবার নওসাদকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে পুলিশ। শুনানি চলাকালীন লালবাজারের তরফে নওসাদ সহ ২০ আইএসএফ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩২ পাতার চার্জশিট দাখিল করা হয়। পুলিশের তরফে নওসাদ সহ বাকি আইএসএফ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধাদান ইত্যাদি ধারাও তাঁদের বিরুদ্ধে লাগু করা হয়েছে। 

এপ্রসঙ্গে  সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাঙড়ের হাতিশালায় হামলা হয়েছিল নওসাদ সিদ্দিকীর ওপর। তাঁরই গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। তাঁকেই টেনে হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পুলিশ বলছে নওসাদই নাকি হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অথচ আক্রমণ চালালো তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম। তাকে অবাধে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।’’   

এদিন পুলিশ হেফাজত থেকে নওসাদ সিদ্দিকীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে নিউমার্কেট থানা তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি অবধি তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া হেয়ারস্ট্রিট থানার করা মামলায় নওসাদকে ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এদিন নওসাদ সিদ্দিকীর হয়ে জামিনের আবেদন জানান বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি আদালতে জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়ে দিয়েছে। এর মানে তদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও নওসাদ সিদ্দিকীকে হেফাজতে রাখার কী প্রয়োজন রয়েছে? একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২১ জানুয়ারির ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী কিংবা সরকারি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত নেই। তারপরে কোন যুক্তিতে নওসাদ সিদ্দিকী সহ বাকিদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হল? 

এদিন আদালতে ঢোকার সময় নওসাদ সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, পুলিশ হেফাজতে তিনি সহ বাকি আইএসএফ নেতাকর্মীদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁদের জেলে বন্দী করে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সরকার ভাবছে এই ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আইএসএফকে বেকায়দায় ফেলা সম্ভব। 

সুজন চক্রবর্তী এদিন আরও জানান, ‘‘সরকার ভয় পাচ্ছে। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। তাই নওসাদ সিদ্দিকীর মুখ বন্ধ করতে চাইছে তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন।’’

২১ জানুয়ারির ঘটনার ২৫ দিনের মধ্যে তদন্ত গুটিয়ে চার্জশিট পেশ হলো কিভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন চক্রবর্তী। ভাঙড়ে সিপিআই(এম)’র ডাকে মিছিল ছিল বুধবার। সেই মিছিল আটকাতে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের বাড়ি বাড়ি নোটিস পাঠিয়েছে। 

চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া‘‘মানুষের করের টাকায় বেতন পায় পুলিশ। কিন্তু কাজ করছে তৃণমূলের ভৃত্যের মতো। মানুষ কড়ায় গণ্ডায় হিসেব বুঝে নেবেন।’’

চক্রবর্তী জানান ১৪৪ ধারা জারির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছে সিপিআই(এম)। আদালতে এদিন শুনানি হয়নি। তবে আটকে রাখা যাবে না, মিছিল হবেই।

 

Comments :0

Login to leave a comment