অপূর্ব মণ্ডল: কুশমুণ্ডি
দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে তীব্র দাবদাহ সত্বেও বামফ্রন্ট কর্মীরা বিরামহীন ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্তের সমর্থনে। প্রচারের শেষ দিনেও কৃষক, মজদুর ও খেতমজুর সহ যুবক যুবতীর ন্যায্য অধিকার অর্জনের জন্য বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থেকেছেন রাস্তায়।
বালুরঘাট লোকসভা এলাকার একাধিক বিধানসভা এলাকায় এদিন সকাল থেকে প্রচারে থেকেছেন আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত। কথা বলেছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। কেন্দ্র এবং রাজ্যে আসীন দুই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহু মানুষ।
দুর্নীতি, বেকারত্ব, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম, সারের কালোবাজারি, শ্রমিকদের মজুরি, আবাস যোজনার দুর্নীতি, রাস্তাঘাটের বেহাল দশার মতো বিষয়গুলিই নিয়েই চলেছে প্রচার।
বালুরঘাটের চক ভবানী পাড়ার ত্রিশোর্ধ্ব এক যুবক বলেন, ‘‘আমিও একটি চাকরির পরীক্ষায় পাস করলেও নিয়োগপত্র পাচ্ছি না রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জন্য। অনেক কষ্টে দিন কাটছে। অন্যান্য ইন্টারভিউ দিলেও ফলাফল প্রকাশ করছে না। কিন্তু গোপনে মেসেজ দিয়ে নিয়োগ করাচ্ছে অযোগ্যদের। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে ছাব্বিশ তারিখে, ভোটের বাক্সে।’’
হিলির জামালপুরের কৃষক বলেন, ‘‘আমন ধানের দাম পাইনি সরকারের জটিল ধান বিক্রির পদ্ধতির জন্য। জেলার জেসিআই কেন্দ্র থাকলেও পাট কেনা বেচা হয় না। ফলে ফড়িয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। কালোবাজারির জন্য বেশি দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হই সার। জবাব দেব।’’
বালুরঘাটের নির্মাণ শ্রমিক প্রভাত মহন্ত বলেন, ‘‘গরিব শ্রমিকরা শ্রম দপ্তরের নির্দিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছে। মেয়াদ পার হলেও রাজ্য সরকার সুদ সমেত সেই টাকা মেটাচ্ছে না। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধাও পাচ্ছি না। গ্রামের রোজগার যোজনার কাজ তিন বছর। বামফ্রন্টই একমাত্র শ্রমিকদের কথা বলে। তাই শ্রমিকরা বামফ্রন্টকেই সমর্থন জানাবে।’’
মঙ্গলবার কুশমুণ্ডিতে ভোটের প্রচারে গিয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপির পরিচালিত দুই সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মানুষ বিশ্বাস করবে না। দশ বছরে মানুষ শুধু ঠকেছে। তাই শ্রমিক কৃষক ছাত্র বেকার যুবক যুবতী সহ শিক্ষকরা এবার বামফ্রন্ট প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’’
Comments :0