কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর জি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের ভয়াবহ হামলার পর এই দাবী তুলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম।
তিনি বলেছেন, একদিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর নজরদারি করছে, বারবার বলা হচ্ছে এখানে আন্দোলন করা যাবে না ওখানে আন্দোলন করা যাবে না। আর আরজি করে যখন জনা ৩০ লোকের হামলা হচ্ছে তখন পুলিশ বাথরুমে গিয়ে মুখ লুকাচ্ছে।
বুধবার রাতে রাজ্যে সর্বত্র বিচারের দাবিতে বিভিন্ন অংশ শামিল হয়েছিল মহিলাদের রাস্তা দখলের ডাকে। তৃণমূল গোড়া থেকে সমস্ত আন্দোলনের উপর শাসানি হুমকি চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই দিনই মধ্যরাতে একেবারে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতি বাহিনী।
সেলিম বলেছেন, কারাই দুষ্কৃতী সেই ছবি আমাদের কাছে আছে। কোন নেতার হয়ে তোলাবাজি তারা করেন আমরা জানি। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন মিডিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখার এত প্রয়াস নেওয়া হল পুলিশের তরফে। পুলিশের এই ব্যর্থতার পরেও নিজেদের সাফল্য দাবি করা হচ্ছে কেন সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সেলিম বলেন আরএএফ ছিল, পুলিশ ছিল, নির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল না বলে পরিস্থিতি সামলাতে পারেনি। তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমকে আটকাতে বলা হয়েছিল। যাতে এই ঘটনার ছবি ভিডিও পাওয়া না যায়। আরজিকরের দেয়াল কাটা ভেঙেছিল।
বুধবার এর আগেই আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম সংলগ্ন দেওয়াল ভাঙ্গার তথ্য হাতে আসে। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস তথ্য প্রমান লোপাটের গুরুতর আশঙ্কা তোলে। এই মঞ্চের অভিযোগ কোন ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই দেয়াল ভাঙার কাজ হয়েছে। এই সেমিনার কক্ষেই পাওয়া গিয়েছিল নির্যাতিতার রক্তাক্ত দেহ। সিবিআই তদন্তের মুখে প্রমাণ লোপাটের সব রকম ব্যবস্থা হচ্ছে। আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন এন্টালিতে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পর থেকে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেন সেলিম।
তিনি বলেন আন্দোলনরত বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। আক্রমণ চালানো হয়েছে চিকিৎসকদের উপর। মাত্র কয়েক জন লোক একটা হাসপাতালকে ভেঙে তছনছ করে দিল, আর পুলিশ সেটা দাঁড়িয়ে দেখল। এই কমিশনার পদত্যাগ না করলে নাগরিক স্বাধীনতা বাধা প্রাপ্ত হবে।
এন্টালির কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও।
Comments :0