Dharali Cloudburst

দেবদারু সাফ হয়েছে নির্বিচারে, ধরালির বিপর্যয়ে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জাতীয়

দশকের পর দশকে কাটা হয়েছে গাছ। তার মধ্যে দেবদারুই বেশি। পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসেছে সমানে। উত্তরাখণ্ডের ধরালিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ সেটিই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
গত ৫ আগস্টের বিপর্যয়ে গঙ্গোত্রীর পথে এই গ্রাম প্রায় ধুয়ে গিয়েছে। রবিবার উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে যে প্রায় ১ হাজার বিপন্নকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটকদের মধ্যে নিখোঁজ অনেকে। 
জানা গিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি স্তরে ধরালি বিপর্যয়ের কান খুঁজতে বিশেষজ্ঞ দল খোঁজ শুরু করেছে। প্রাথমিক বোঝাপড়া হলো, ধরালি সহ পার্বত্য এলাকায় দেবদারু গাছের ঘন জঙ্গল সাফ হতে থাকায় বিপর্যয় এত ভয়াবহ মাত্রা নিতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেবদারু গাছের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে মাটি ধরে রাখার। এ গাছের শিকর মাটির ভেতর ছড়িয় ধস রোধী হিসেবে কাজ করে। হিমালয়ের ভূ-প্রকৃতিতে তা বিশেষ জরুরি। 
হিমালয়ের ভূ-প্রকৃতি সম্পর্কে একাধিক বইয়ের লেখক অজয় সিং রাওয়াত সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সমুদ্রতল থেকে প্রায় ২০০০ মিটার উঁচুতে হিমালয়ের নিচের অংশে একসময়ে দেবদারুর ঘন জঙ্গল ছিল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে ৪০০-৫০০ দেবদারু ছিল। কিন্তু বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রকৃতি এবং জনবসতির পক্ষে তা বিপজ্জনক হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment