ওড়িশার বারগড় জেলায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত এক মাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা চতুর্থবার ঘটলো ওই রাজ্যে। এর আগে বালেশ্বর, বালঙ্গা এবং কেন্দ্রাপাড়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
জানা গিয়েছে মেয়েটি তার মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। তাকে বারগড়ের ফিরিংমাল গ্রামের একটি ফুটবল মাঠে গুরুতর দগ্ধ এবং অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এদিন সকালে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত বুরলার বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি পেট্রল ব্যবহার করে নিজের গায়ে আগুন দেয়। তবে এর পিছনে কি কারণ এখনও জানা যায়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাজ্যের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছন, ‘‘আত্মহত্যার পিছনের কারণ এখনও জানা যায়নি। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি নিজের গায়ে আগুন দিতে পেট্রল ব্যবহার করেছিল।’’
নিহত ছাত্রী তেন্দাপাতার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে, গত ১২ জুলাই বালেশ্বরের এক ২০ বছর বয়সী ছাত্রী তার কলেজের ক্যাম্পাসে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিল এবং ১৪ জুলাই ভুবনেশ্বর এআইআইএমএসে তার মৃত্যু হয়।
১৯ জুলাই বালঙ্গার এক নাবালিকাকে তিনজন আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২ আগস্ট দিল্লির এআইআইএমএসে তার মৃত্যু হয়।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে ৬ আগস্ট কেন্দ্রাপাড়া জেলার পট্টামুন্ডাই (গ্রামীণ) থানা এলাকায়, যেখানে এক তৃতীয় বর্ষের স্নাতক ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
Orissa
ওড়িশায় ফের ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা, এক মাসে চতুর্থ ঘটনা

×
Comments :0