MODI SPEECH

বিরোধীদের ঘিরে ধর্মীয় বিদ্বেষ মোদীর ভাষণে

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

বুধবার বিহারের নওয়াদায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী।

এবার কংগ্রেস এবং তার রাজনৈতিক সহযোগীদের ‘সনাতন ধর্ম বিরোধী’ বললেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরের প্রশংসা করলেই দলের নেতাদের বের করে দিচ্ছে, তুললেন এই অভিযোগও। কোনও রাখঢাক না রেখে নির্বাচনী জনসভায় তীব্র ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালেন নরেন্দ্র মোদী।
নির্বাচন কমিশন বিদ্বেষ ভাষণে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি জানিয়েছে। মোদীর ভাষণে আদৌ কিছু করা হবে কিনা, উঠে গেল সেই প্রশ্ন।
রবিবার বিহারের নওয়াদায় জনসভা করেন মোদী। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বারবার দিক বদলানো জনতা দল (ইউ) সভাপতি নীতীশ কুমারও। এ রাজ্যে গতবার লোকসভার ৪০ আসনে ৩৯টি জিতেছিল বিজেপি জোট। এবার বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ অনেক গুছিয়ে নেমেছে। মোদীর ভাষণে উদ্বেগও ধরা দিয়েছে।  
শনিবারই মোদী বলেছিলেন যে কংগ্রেসের ইশ্‌তেহারে স্বাধীনতার আগে মহম্মদ আলি জিন্নার চিন্তার ছাপ দেখতে পেয়েছেন। এদিনও বলেছেন একই কথা। যোগ করেছেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তাঁর সঙ্গীরা সনাতন ধর্ম বিরোধী।’’ বলেছেন, ‘‘রামনবমী উৎসব আসছে। এদের পাপ ভুলে যাবেন না।’’
এর মধ্যেই নীতীশ কুমারকে পাশে রেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিরোধী নেতাদের প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রী হতে আগ্রহী। তা নিয়ে নিরন্তর বিবাদ চলছে।’’ মোদী বলেছেন, ‘‘আমাদের সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। কংগ্রেস আর তার সঙ্গী ব্যস্ত সংখ্যালঘু তোষণে। ব্যস্ত সনাতন ধর্মের বিরোধিতায়।’’
উল্লেখ্য, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বাতিল হয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে, সরকার আইন আনার আগেই। বিরোধীরা বারবারই বলেছেন যে সংখ্যালঘুদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। আসলে সংবিধানের মূলে আঘাত করছেন বলেই মোদী এবং আরএসএস এই অধিকারকে ‘তোষণ’ বলছেন। চাইছেন বিদ্বেষ তৈরি করতে। নির্বাচনী জনসভায় রামনবমীর উল্লেখ করে সংখ্যালঘু বিদ্বেষেই হাওয়া দিচ্ছেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর থেকে উৎসব ঘিরে আনন্দের বদলে উত্তেজনা বারবার ছড়িয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, স্বাধীনতার আগে জিন্নার মুসলিম লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক প্রদেশে সরকার গড়েছিল হিন্দু মহাসভা। নেতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, যাঁকে বারবারই স্মরণ করেন মোদী এবং সঙ্ঘ পরিবার।

Comments :0

Login to leave a comment