NUCLEAR TEST

ছোট্ট দ্বীপের টিটো রাষ্ট্রসঙ্ঘে চেনালেন পরমাণু খবরদারির পাণ্ডাদের

আন্তর্জাতিক

NUCLEAR TEST

এই দিনেই সেমিপালাতিনস্কে পরমাণু প্রকল্প বন্ধ করেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৯১’র ৩০ আগস্টের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ দিবস পালনও শুরু করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ‘পরমাণু পরীক্ষা বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ এই দিনে পালন করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাজাখস্তানের কূটনীতিবিদ আকান রাখমেতুল্লিন মনে করিয়েছেন যে ১৯৪৫ সালে প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণের পর থেকে ২ হাজার ৫৬টি পরমাণু পরীক্ষা নথিভুক্ত রয়েছে। তার বেশিরভাগই মুখ্যত আটটি দেশে। 

প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতির রাষ্ট্রদূত তেবুরোরো টিটোর বক্তব্য সকলের নজর কেড়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে এদিনের অধিবেশনে। তিনি জানিয়েছেন কেবল ব্রিটেন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে ৩৩ বার পরমাণু অস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে। ১৯৫০ এবং ’৬০-র দশকে এই পরীক্ষাগুলি চালানো হয়। তার জেরে আজও ক্যানসারের মতো একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন এই দ্বীপে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে বিশেষ আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন টিটো। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ১৩ হাজার পরমাণু অস্ত্র মজুত রয়েছে। বাড়ছে পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং দ্বন্দ্ব। বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে যা যা হওয়ার দরকার তা-ই হচ্ছে। গুতেরেজের মতে সমাধানে পথে এগতে হলে দরকার আইনি বাধ্যতা রয়েছে এমন একটি চুক্তি। যেখানে বিশ্বের কোথাও পারমানবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো যাবে না। 

তবে এই পরামর্শ বিভিন্ন সময়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কারণ, পশ্চিমের উন্নত দেশগুলির হাতেই রয়েছে বিপুল পরমাণু অস্ত্রের মজুত। সেগুলি ধ্বংস করার মতো নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেখাতে পারেনি রাষ্ট্রসঙ্ঘ। পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞার নামে কার্যত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো কার্যক্রমেও বাধা তৈরি করা হয়েছে অন্য দেশগুলিতে। ফলে পরমাণু বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমী দুনিয়াই খবরদারি বজায় রেখেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment