SC School Job Scam

‘প্রতি ধাপে জালিয়াতি’, চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশও

রাজ্য

 গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ধাপে জালিয়াতি হয়েছে। শুনানিতে সরাসরি এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টেরই। তবে একসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সিবিআই তদন্ত চলবে।
১৬ জুলাই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্ট সব চাকরিই বাতিলের নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল যে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে পেশই করেনি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য।
এর আগের দফার শুনানিতেও প্রধান বিচারপতি সরাসরি রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলেছিলেন যে নিয়োগ ঘিরে জালিয়াতি স্পষ্ট। ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। এদিনও একের পর এক কড়া মন্তব্যই শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপারনিউম্যারিক পোস্ট কেন তৈরি করা হলো, সেই প্রশ্নও তুলেছে। তবে রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা, যাঁরা অতিরিক্ত পদ তৈরির সিদ্ধান্তে জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তারির মতো পদক্ষেপ আপাতত নিতে বারণ করেছে সিবিআই-কে। ২২ এপ্রিল হেপাজতে নিয়ে জেরার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। 
বামপন্থীরা এই মামলায় বারবারই বলছেন, যোগ্যদেরও চাকরি গিয়েছে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে। কে যোগ্য কে অযোগ্য, এই তালিকা আদালতে দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য এবং অযোগ্যের তালিকা দেওয়া হবে বলে দাবি করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, সেই তালিকা থাকলে হাইকোর্টে দিলেন না কেন। তা’হলে তো যোগ্যতার নিরিখে চাকরি যারা পেয়েছেন তাঁদের চাকরি যেত না। আসলে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তৃণমূল। সেই দুর্নীতি ঢাকতে অতিরিক্ত পদ তৈরি হয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্যের তালিকা সেই কারণেই দেওয়া হয়নি আদালতে।  
মঙ্গলবারও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জেবি পরদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে বলেছিলেন, ‘‘এমনিতেই সরকারি চাকরি অত্যন্ত কম। তার উপর নিয়োগের ক্ষেত্রে জনতার আস্থা ভেঙে গেলে আর কিছুই থাকবে না।’’
বিচারপতি কড়া মন্তব্য করেছেন তথ্য না রাখাতেও। বেঞ্চ বলেছে, তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা দেখানোর মতো কোনও প্রমাণ রাজ্য সরকারের নেই। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের প্রতি বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘হয় আপনাদের হাতে তথ্য রয়েছে অথবা নেই। কিন্তু আপনাদের কর্তব্য তথ্য এবং নথি সংরক্ষণ করা। এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তথ্য নেই। আপনারা যে সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সে আবার আরেকটি সংস্থাকে ভার দিয়েছিল। আপনারা জানতেন না? পুরো প্রক্রিয়ায় নজরদারির দায়িত্ব তো আপনাদের।’’

Comments :0

Login to leave a comment