বারাসাত ব্লক ১ থেকে জেলা পরিষদের ২৫ আসনে হাবিব আলীকে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে প্রচন্ড মারধর করে রক্তাক্ত করে দিল তৃণমূলীরা। গনণা কেন্দ্র বিডিও দপ্তরের পাশে অবস্থিত পলিটেকনিক কলেজে। মঙ্গলবার রাতে সিপিআই(এম) নেত্রী আত্রেয়ী গুহ এখবর দিয়ে জানান, গণনাতে যখন দেখা যায় হাবিব আলী এগিয়ে রয়েছেন ঠিক সেই সময়েই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পরে তৃণমূলীরা। সিপিআই(এম)'র কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে তৃণমূলীরা একতরফা গনণা চালিয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে মারাত্নক জখম হওয়ায় বাধ্য হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতে উদ্ধার করে হাবিব আলীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন খোদ বিডিও।
ভোটের দিন তৃণমূলের সস্ত্রাস, ভোট লুট দেখেছেন মানুষ।
ব্যাপক সন্ত্রাস দুষ্কৃতী তাণ্ডব, খুন-জখম, গোটা নির্বাচন পর্বে ৪০ জনেরও বেশি মৃত্যু, দেদার ভোট লুটে তৃণমূল জিতেছে বেশিরভাগ আসনে। তৃণমূল জিতেছে সন্ত্রাস করে গণনা কেন্দ্রে ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে। এদিন গণনাকেন্দ্রে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে। সাগরপাড়া থানার নতুনপাড়া এলাকার সিপিআই(এম) কর্মীকে রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
গোটা নির্বাচনে তৃণমূলের আক্রমণ মূলত ছিল বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ’র প্রার্থী, এজেন্টদের উপরই। অনেক জায়গাতেই গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলীরা বিরোধীদের প্রার্থী, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের জয়ের শংসা পত্র দেননি প্রশাসনের আধিকারিকরা। কোথাও আবার জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে ফেলেছে তৃণমূলীরা। এদিন এমনও দেখা গেছে যে, জয়ী বামফ্রন্ট প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে পুলিশকে। জয়ী প্রার্থীকে পুলিশ বলেছে,‘আপনি সার্টিফিকেট নিয়ে ব্লক অফিসে চলুন। আপনার কেন্দ্রে পুনর্গণনা হবে।’ এদিন পুলিশের ভূমিকা ছিল ন্যক্কারজনক। তারা তৃণমূলের কর্মীদের সবরকমভাবে সহায়তা করেছে জয় লুট করতে। বিডিও সহ প্রশাসনের আধিকারিকদেরও বেশিরভাগ তৃণমূল নেতাদের তাঁবেদারের ভূমিকা পালন করেছেন।
Comments :0