SC ED TRIAL

তদন্তের নামে বিনা বিচারে আটক, ইডি’কে ধমক সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

তদন্ত চলছে বলে দিনের পর দিন অভিযুক্তকে আটকে রাখা যায় না। গ্রেপ্তার করার পর বিচার শুরু হওয়ার দিন পিছানো যায় না। কেবল অতিরিক্ত চার্জশিট দিতে থাকলে বিচার পিছিয়ে যায়। 
সময় বেঁধে তদন্ত শেষ করার কড়া বার্তায় এভাবেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি’কে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এদিন শুনানি হয় ঝাড়খণ্ডে বেআইনি খনন এবং অর্থ পাচারের মামলার। 
ধৃত প্রেম প্রকাশের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল এদিন। প্রকাশকে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরনের সহযোগী বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। সোরেনকেও হেপাজতে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এই বিভাগ। 
বেঞ্চ ইডি’র আইনজীবীকে বলেছে, ‘‘আপনাকে সতর্ক করছি। আইন অনুযায়ী একজনকে গ্রেপ্তার করে দিনের পর দিন তদন্ত চালিয়ে যেতে পারেন না। বিচার শুরু না করে কাউকে দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা যায় না। গ্রেপ্তারের পর একের পর এক অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়ে তদন্ত চালানোর অভ্যাস বন্ধ করতে হবে।’’
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে দুর্নীতির একাধিক মামলায় তদন্ত শেষ না করার জন্য ধমক খেতে হয়েছে ইডি এবং সিবিআই’কে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে কেবল রাজনৈতিক ফয়দা তোলার অভিযোগ কেন্দ্রে আসীন বিজেপি’র বিরুদ্ধে তুলেছে বামপন্থীরা। সারা দেশে ইডি একের পর এক গ্রেপ্তারি চালালেও গত কয়েক বছরে বিচার এবং শাস্তির হার কম কেন সেই প্রশ্নও তুলেছে সিপিআই(এম)। 
বিচারপতি খান্না বলেছেন, ‘‘এর আগে (দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী) মনীশ সিসোদিয়ার মামলাতেও আমরা বলেছি যে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রেখে বিচার শুরু করতে না পারলে আদালত জামিন দিতে পারে। আইনের ৪৫ ধারা দেখিয়ে তা আটকে রাখা যায় না। কারণ সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী কোনও নাগরিককে বিনা বিচারে আটকে রাখা যায় না।’’
নরেন্দ্র মোদী সংসদের শেষ অধিবেশনে এবং তার পরও ইডি এবং সিবিআই’র গ্রেপ্তারির সংখ্যা দেখিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার দাবি তুলেছেন। সেই দাবিকে ধাক্কা দিয়েছে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। বরং, ইডি সিবিআই দেখিয়ে দল ভাঙানোই হয়েছে, বলছেন বিরোধীরা।

Comments :0

Login to leave a comment