manipur

মণিপুরে ছাত্রকে গুলি পুলিশের,কলকাতায় বিক্ষোভে বামপন্থী ছাত্র যুব মহিলারা

কলকাতা

মণিপুরে বারংবার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সোমবার ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেখানে পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তারই প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ সভা করলো বামপন্থী  ছাত্র, যুব, মহিলারা। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ডাকে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সামনে বুধবার বিকেল ৫টার সময় এই সভা হয়।

মঙ্গলবার মণিপুরে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়েছেন ছাত্ররা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনে লকডাউনের পোস্টার ঝুলিয়েছেন প্রতিবাদীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ হলো কলকাতাতেও। এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি বর্ণনা মুখার্জি বলেন, "পরিকল্পনা মাফিক মণিপুরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরী করা হচ্ছে। মণিপুরের সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোনও হেলদোল নেই। খনিজ সম্পদের মালিকানা কর্পোরেট আম্বানি আদানীদের হাতে তুলে দিতেই চাইছে সরকার"। 
ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি বিকাশ ঝা বলেন, "২২ বছরের এক ছাত্রকে গুলি করে খুন করলো সরকার। মনিপুরে মহিলাদের সন্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই বিক্ষোভ সভা"।

রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীও বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সভায় আসছে না। বিরোধীরা বলছে বিধায়কদেরই রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা নেই। বিজেপি বরাবর প্রচার করে নরেন্দ্র মোদীর ৫৬ ইঞ্চির ছাতি। কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রী শেষ দুবছরে একটি বারের জন্য মণিপুরে যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রক্তাক্ত সংঘর্ষ থামাতে  ব্যর্থ। এর পিছনে প্রধান কারণ আরএসএস-বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি।    

উল্লেখ, বিজেপি দ্বারা পরিচালিত মণিপুর সরকার ৭ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত আরও তিন দিনের জন্য পুনঃবহাল রাখলো সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment