SC SANDESHKHALI

সন্দেশখালির বিচার হাইকোর্টেই, রায় সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মধ্যেই বিচার হওয়া সম্ভব। সোমবার এই মতামত দিয়ে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী অলক শ্রীবাস্তব রাজ্যের বাইরে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের ভার সিবিআই’কে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।  
আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলেছে, হাইকোর্টে মামলার বিচার হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আরও বলেছে, মণিপুরের সঙ্গে সন্দেশখালিকে এক করে দেখা অনুচিত। সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্ত দল গড়ার আবেদনও খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 
তবে দুই বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং অগাস্টিন জর্জ মসির বেঞ্চ আবেদনকারীকে হাইকোর্টে আবেদন জানানোর অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করে মহিলাদের ওপর অত্যাচার এবং আদিবাসীদের জমি জোর খাটিয়ে দখল করার বিষয়টির উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। 
মণিপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে তুলনায় এনে ওই ঘটনার মতো বিশেষ তদন্ত দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনে তার উল্লেখ ছিল। আদালত বলেছে সন্দেশখালি এবং মণিপুর তুলনা করা যায় না। 
সন্দেশখালিতে জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার এবং সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। জনরোষের কারণেই কার্যত উত্তম এবং শিবুকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকে বেপাত্তা তৃণমূলের এই অভিযুক্ত নেতা। 
এদিনই সন্দেশখালিতে গিয়ে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। উল্লেখ্য, এই দাবি বারবারই তুলছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক বিভাজনও টেনে আনছে সন্দেশখালির ঘটনায়। 
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছেন, মানুষ রাস্তায় নামলে ৩৫৬ ধারা জারি করার দরকার হয় না। সন্দেশখালি তা দেখিয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছেন, তৃণমূল দুষ্কৃতী-দুর্নীতি জোট তৈরি করছে, প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকছে। রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিচ্ছে প্রতিটি ঘটনায়। আর বিজেপি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনে নেমে তৃণমূলের অপরাধ আড়াল করে দিতে চাইছে।

Comments :0

Login to leave a comment