PRIGOZHIN DIED

রাশিয়ায় সেনা বিদ্রোহের মাথা প্রিগোঝিন কি মৃত? অস্পষ্ট বিমান দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরও

আন্তর্জাতিক

সশস্ত্র বিদ্রোহের মাথা ইয়েভগিনি প্রিগোঝিন মৃত। তাঁর নিজস্ব জেট ভেঙে পড়ে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে। বিমানের সাত আরোহী এবং তিন বিমানকর্মীর সবাই মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। 

প্রিগোঝিন বেসরকারি সামরিক বাহিনী বা ভাড়াটে বাহিনী ‘ওয়াগনার’-র প্রধান। এই ধনকুবেরের সঙ্গে বিমানে ছিলেন বাহিনীর প্রধান সহকারী ভ্যালেরি চেকালভও। 

প্রিগোঝিনের মৃত্যুর খবর সরকারি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেনি রাশিয়া। তবে বিমান পরিষেবার সরকারি নিয়ন্ত্রক রোজাভিয়াতসিয়া জানিয়েছে যাত্রীদের সকলেই নিহত এই বিমান দুর্ঘটনায়। যাত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রিগোঝিনের। 

দীর্ঘ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন ইয়েভগিনি প্রিগোঝিন। ভাড়াটে সেনার বাহিনী ‘ওয়াগনার’ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধও করেছে রাশিয়ার হয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধেও এই বাহিনী যুক্ত ছিল। কিন্তু রাশিয়ার সরকারি সেনার ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে এই ওয়াগনারের ভাড়াটে সেনারা রাস্তায় ট্যাঙ্ক এবং সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে নেমে পড়ে। মস্কোর কিছু আগে তাদের ঠেকানো হয়। পুতিন চরম হুঁশিয়ারিও দেন। বেলারুশের হস্তক্ষেপে সাময়িক নিরসন হয় দ্বন্দ্বের। সমঝোতা হয় বেলারুশেই নির্বাসিত থাকবেন প্রিগোঝিন। ফলে মস্কোয় তিনি গেলেন কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 

ব্যক্তিগত এমব্রেয়ার জেট বিমানে ঘটনার সময় ছিলেন প্রিগোঝিন, জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আবার পশ্চিমী মাধ্যম পুতিনকে নিশানা করেছে এই ঘটনায়। তারা জানাচ্ছে, ‘ওয়াগনার’ সম্পর্কিত সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাশিয়ার বিমানবাহিনী জেটে গুলি চালিয়েছে। 

সরকারিভাবে রাশিয়া জানায়নি জেট ভেঙে পড়ার কারণ কী। তবে দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘তাস’। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আবার মন্তব্য করেছেন প্রিগোঝিনের রহস্যজনক মৃত্যুতে তিনি বিস্মিত নন। পুতিনের বিরোধিতায় নেমে এমনই পরিণতি অপেক্ষা করছিল।  

Comments :0

Login to leave a comment