SONAM WANGCHUK LEH

লাদাখে স্বশাসন, এবার লেহ থেকে দিল্লি পদযাত্রায় ওয়াঙচুক

জাতীয়

সোনম ওয়াঙচুক।

পরিবেশ আন্দোলনের মুখ সোনম ওয়াঙচুকের নেতৃত্বে নতুন দফায় আন্দোলনে নামল লাদাখ। প্রায় একশো স্বচ্ছাসেবল রবিবার পদযাত্রা শুরু করলেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। লাদাখবাসীর চার দফা দাবি নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়া ফের শুরুর দাবিতে শুরু হয়েছে পদযাত্রা।
২০১৯’র ৫ আগস্ট কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পূর্ণ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অপরটি লাদাখ। কিন্তু কেন্দ্রের সংবেদনশীল এই এলাকার প্রকৃতি-পরিবেশ এবং সেই সঙ্গে জীবিকার গুরুতর সঙ্কট ঘিরে বাড়তে থাকে আন্দোলন।
এ বছরের মার্চে আলোচনা প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। সে সময় ওয়াচুকের নেতৃত্বে টানা প্রায় ৬৬ দিনের অনশন চলে লেহতে। লোকসভা নির্বাচন এসে পড়ায় অনশন স্থগিত রাখেন ওয়াঙচুক। ভোটের পরে কথা শুরু চেষ্টা চালালেও দিল্লির তরফে সায় বিশেষ মেলেনি। এই আন্দোলনে লেহ অ্যপেক্স বডির সঙ্গে শামিল থেকেছে কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সও। 
পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি এই পদযাত্রায় স্লোগান উঠছে সংবিধানের ৬ষ্ঠ তফসিলে লাদাখকে স্বীকৃতি দেওয়ার। লাদাখে প্রায় ৯৭ শতাংশ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর। সংবিধানের ৬ষ্ঠ তফসিলে আদিবাসী প্রধান এলাকায় প্রশাসন এবং আর্থিক ক্ষমতার বিশেষ অধিকার দিয়ে স্বশাসিত পরিষদ গড়া যায়। ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বের চার রাজ্যে ১০টি স্বশাসিত পরিষদ রয়েছে। 
লেহ অ্যাপেক্স বডির আহ্বায়ক থুপসান ছেওয়াঙ বলেছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে লাদাখে সরকারি স্তরে নিয়োগ চালু করার দাবিো তুলছে এই পদযাত্রা। লেহ এবং কারগিলের জন্য দু’টি আলাদা লোকসভা আসনের দাবিও উঠেছে। 
দিল্লিতে পদযাত্রা পৌঁছানোর কথা ২ অক্টোবর। ওয়াঙচুক বলেছেন, ‘‘আশা রাখব যে কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সও এবারের আন্দোলনে যোগ দেবে। সবাই এই দীর্ঘ পথে হাঁটবেন না। কিন্তু সমর্থনের বিপুল বার্ত পাচ্ছি। এমনকি বিদেশে রয়েছে লাদাখের এমন বাসিন্দারাও সমর্থনের বার্তা পাঠাচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে সমর্থন আরও বাড়বে আশা করছি।’’
২ অক্টোবর, মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে দিল্লিতে পৌঁছানোর সূচি রয়েছে পদযাত্রার। লাদাখে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভাঙতে যথেষ্ট তৎপর থেকেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিয়ন্ত্রিত শাসন। সে সময়ে ধরপাকড়ের মুখেও পড়তে হয়েছিল ওয়াঙচুক এবং তাঁর সহযোগীদের। কেন্দ্রীয় শাসনে গণতন্ত্রের উপাদান না থাকায় পরিবেশ এবং জীবিকার সঙ্কট, এদিনও বুঝিয়েছেন ওয়াঙচুক।
তিনি বলেছেন, ‘‘লাদাখ সীমান্তবর্তী এলাকা। প্রাকৃতিক কারণে অত্যন্ত সংবেদনশীল। এখানে উন্নয়নের প্রক্রিয়া লাদাখবাসীর চাহিদা মাথায় রেখেই ঠিক করা প্রয়োজন।’’

Comments :0

Login to leave a comment