উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, স্বরূপনগরের পর এবার সন্দেশখালি। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পাথর খাদান ধসে মৃত্যু হয় সন্দেশখালির যুবক সুব্রত রপ্তানের (২৪)। বুধবার তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছায় সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলখালি গ্রামে। শোকে স্তব্ধ গোটা গ্রাম। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। কারণ এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের দু একজন করে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন। মৃত সুব্রত রপ্তানের বাবা শ্যামল রপ্তান তামিলনাড়ুতে কাজ করেন। বাড়িতে মা মালতি রপ্তান একাই থাকতেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে শ্যামল রপ্তানের একমাত্র ছেলে সুব্রত বিএ পাশ করে। রাজ্যে চাকরির আশা ছেড়ে দু-আড়াই মাস আগে নাম লেখান পরিযায়ী শ্রমিকের খাতায়। মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ মিজোরামের হাঁথিয়াল জেলার মৌদড় গ্রামে এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করছিলেন তিনি। পাথর খাদানে শ্রমিকের কাজ করতেন সুব্রত। গত ১৪ নভেম্বর বেলা ২টা ৪০ মিনিট নাগাদ খাদান ধসে চাপা পড়ে কর্মরত ১২জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে মিজোরাম প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক। নদীয়া জেলার ৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনার সুব্রত রপ্তান। এই একজনই হলো সন্দেশখালির সুব্রত রপ্তান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন মৃত শ্রমিক পরিবারগুলির পাশে থাকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। তিনি বলেছেন, গ্রামে গ্রামে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। বাড়াতে হবে মজুরি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন ভিটে মাটি ছেড়ে পড়াশোনা বন্ধ করে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে অল্পবয়সী ছেলে মেয়েদের? কেন পঞ্চায়েতগুলিকে লুটের পঞ্চায়েত বানিয়েছে তৃণমূল।’’ সর্দার বলেন, ‘‘ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে গ্রামকে গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করে দায় এড়াচ্ছেন।’’
Mizoram Stone Quarry Collapse
মিজোরামে খাদান ধসে নিহত সুব্রতের দেহ এল সন্দেশখালিতে
×
Comments :0