FARMERS RAIL ROKO

পাঞ্জাবে ‘রেল রোকো কৃষকদের, চণ্ডীগড়ে বৈঠকের প্রস্তুতি কেন্দ্রের

জাতীয়

পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় ‘রেল রোকো’ শুরু করলেন কৃষকরা। দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের মিছিলে দমন এবং ফসলের ন্যূনতম দামের আইনের দাবিতে সংহতি জানিয়েছেন তাঁরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, দেশের সর্বত্র গ্রাম ভারত বন্‌ধ এবং শিল্প ক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ। 
বৃহস্পতিবার বেলার বারোটার কিছু পর থেকে পাঞ্জাবের মানসা, বারনালা, রাজপুরার মতো জায়গায় বিভিন্ন রেল লাইনে অবরোধে বসে পড়েন কৃষকরা। 
এদিনই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে চণ্ডীগড়ে আলোচনায় বসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং নিত্যানন্দ রাই থাকবেন বৈঠকে। 
দিল্লিতে ২০২০ থেকে ২০২১’র নভেম্বর পর্যন্ত টানা এক বছরের কৃষক বিক্ষোভে পিছু হটতে হয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। কৃষিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার তিন কৃষি আইন তখন বাতিল করতে হয় বিজেপি সরকারকে। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ফসলের ন্যূনতম দাম, যা সরকার ঘোষণা করে, সেই দামেই যাতে কৃষকদের থেকে ফসল সংগ্রহ করা হয় তা নিশ্চিত করতে আইন হবে। কিন্তু এই অভিমুখে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি বিজেপি সরকার। ধান এবং গমের বাইরে অন্যান্য ফসলেও সরকারি সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। 
কৃষকদের যে অংশ পুলিশের দমনের শিকার, তা আটকে রাখা হয়েছে আম্বালায় শম্ভু সীমান্ত এলাকায়। দিল্লিতে কৃষকরা যাতে ঢুকতে না পারেন তার জন্য নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশ। চলেছে লাঠি। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া বা নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আহত আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, সরকার যেন মনে রাখে আমরা এই দেশেরই মানুষ।
২০২১ সালে কৃষক আন্দোলনকে সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল বিদ্যুৎ আইনে সংশোধনী বিল পাস করানো হবে না। অথচ সেই অভিমুখে পুরোদমে সক্রিয় বিজেপি। রাজ্যে রাজ্যে স্মার্ট মিটার চালুর তৎপরতা ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার স্মার্ট মিটারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। সারা দেশেই এই নীতির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সহ শ্রমজীবী জনতা। 
এদিন কৃষকদের দমনে তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন এই বাহিনী কৃষকদের আটকাতে ৩০ হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেল আনাচ্ছে। দিল্লিতে ঢোকার মুখে সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমান্ত এলাকায় বহুস্তরীয় ব্যূহ গড়া হয়েছে। কাঁটাতার, লোহার ব্যারিকেডে তো বটেই রয়েছে কংক্রিটের বিশাল বিশাল চাঙড়।

Comments :0

Login to leave a comment