SANDESHKHALI ARMS CPI-M

দুষ্কৃতীদের হাতে থাকা অস্ত্র উদ্ধারের দাবি সিপিআই(এম)’র

রাজ্য

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক লাহিড়ী।

পুলিশের থেকে বেশি অস্ত্র রয়েছে দুষ্কৃতীদের হাতে। সন্দেশখালির ঘটনা সেটিই প্রমাণ করছে। উদ্ধার করতে হবে সব অস্ত্র। শুক্রবার সরবেড়িয়ায় তিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ তল্লাশির প্রেক্ষিতে এই দাবি তুলল সিপিআই(এম)।
এদিন কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটিস সদস্য শমীক লাহিড়ী। 
সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় মল্লিকপুরে শুরু হয় তল্লাশি। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার চলতে থাকে। তিনটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। 
লাহিড়ী বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরে আমরা বলছি যে কেবল সন্দেশখালির বিষয় নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ আগ্নেয়াস্ত্রে ঢেকে গিয়েছে। পুলিশের চেয়ে বেশি অস্ত্র তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর হাতে রয়েছে। গোটা রাজ্য এখন দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণে। এক শাহজাহান জেলে গিয়েছে কিন্তু অসংখ্য শাহজাহান রয়েছে। বেড় মজুরে ছোট শাহজাহান ২৯ মার্চ হাকিম মোল্লাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে, তাঁর পুত্রবধূ রেহানা বিবি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হামলার শিকার হন। পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান আমাদের প্রার্থী নিরাপদ সরদার সহ নেতৃবৃন্দ। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি। পরে অভিযোগ নিলেও গ্রেপ্তার হয়নি।’’
লাহিড়ী বলেন, ‘‘শাহজাহান যখন জেলে তখনই এমন ঘটেছে। পাড়ায় পাড়ায় এরকম অসংখ্য শিবু হাজরা, শাহজাহান তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাদের হাতে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘আশ্চর্যের বিষয়, ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়ি গিয়ে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হলেন। তারপর ১৯ দিন চুপ করে বসে থাকল! অপরাধীদের জড়ো করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে এরা কাজ করে চলেছে। এটি তার বড় উদাহরণ।’’ 
লাহিড়ী বলেন, ‘‘এই দুষ্কৃতীরাই তৃণমূলের ভরসা। এদের দিয়েই ভোট লুট করায়। আমাদের দাবি, গোটা রাজ্য যে আগ্নেয়াস্ত্রের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তা উদ্ধার করতে হবে। কে করবে উদ্ধার? যে সরকার নিজেই এদের রক্ষাকর্তা তাদের কিভাবে ধরবে? আর পুলিশ এদের রক্ষা করে, পুলিশের ওপর ভরসা করে লাভ কী? আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে এতদিন বাদের সক্রিয় হলো মানে কী? বেশিরভাগটা সরিয়ে ফেল তারপর আমরা সক্রিয় হব? এখানেও বোঝাপড়ার সন্দেহ থেকেই যায়।’’ 
এদিন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এলাকায় দুষ্কৃতীদের দমাতে ‘এরিয়া ডমিনেশন’ করতে দেখা যায়নি। ফলে বাইরে দাপট দেখালো তৃণমূল এবং বিজেপি এই দু’দলেরই দুষ্কৃতী বাহিনী। সেখানে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি।’’

Comments :0

Login to leave a comment