Dengue

এবার হালতুতে ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, পৌর কর্মীদের বিরক্ত করবেন না, হালতু বাদ্যি বাজিয়ে প্রচার ববির

কলকাতা

হালতু বাদ্যি বাজিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা

হালতুতে ডেঙ্গু সচেতনতা প্রচারে বেরোলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ব্যান্ড পার্টির বিরাট বাহিনী। প্রচারে বলা হলো তেল ছড়াতে বলে পৌর কর্মীদের বিরক্ত করবেন  না। কিন্তু পৌর কর্মীদের নাগরিকরা কি কি বিষয় জানাবেন , পৌর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন কিনা, মশা নিয়ন্ত্রনে ঠিক কি করবেন সেই বিষয় একটি কথাও জানানো হলো না প্রচারে। পাশের ওয়ার্ডেই সকালে ডেঙ্গু আক্রাম্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।  

তখন প্রচারের মাঝে বিরতি হালতু কায়স্থপাড়া রেশন দোকানের পাশে প্রচারের বিরতিতে আলোচনায় ব্যস্ত মেয়র। একা ববি নয় তার সাথে রয়েছে যাদবপুরের বিধায়ক তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার ও ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি অরিজিৎ দাস ঠাকুর। আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে ব্যান্ডের কম বয়সী বাদকরা। কারুর হাতে বাঁশি, কারুর হাতে ট্রামপেড, কারুর হাতে ড্রাম। সবার পরনে সাদা জামা কালো প্যান্ট।

প্রচারে বলা হলো তেল ছড়ালে পরিবেশের ক্ষতি এবং তার সাথে অর্থ অপচয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেহেতু কোন টিকা বা ওষুধ নেই তাই মানুষকেই সচেতন হতে হবে। তাঁদের কেই নজর রাখতে হবে যাতে বাড়ি পাশে জল না জমে। 

উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর মাসে এই ওয়ার্ডে মৌমিতা মুখার্জি এবং অনুরাগ মালকারের মৃত্যু হয়েছ ডেঙ্গুতে। তাছাড়া প্রতিদিন এই ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। পূর্বাচলে এবং খালপাড়ের বহু বাড়িতে রয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এলাকার মানুষ যখন বার বার শাসক দলের কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেছেন ডেঙ্গু মোকাবিলা করার জন্য, তখন কাউন্সিলর ব্যস্ত ছিলেন নিজের পুজো নিয়ে। শুধু সেই সময় নয়। গোটা বছর জুড়ে কোন সময়ের জন্য ওয়ার্ড ব্লিচিং পাওডার ছড়ানো বা মশা মারার তেল দেওয়ার কোন চেষ্টাই করা হয়নি পৌরসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু মেয়র আসছে বলে বুধবার রাত থেকে শুরু হয় রাস্তায় ব্লিচিং পাওডার ছড়ানোর কাজ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। 

সিপিআই(এম) হালতু এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানস মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গু মোকাবিলা করার জন্য যেই ভূমিকা পৌরসভার নেওয়া দরকার তা তারা নিচ্ছে না। ডেঙ্গু মোকাবিলাকে যে তারা তাচ্ছিলের চোখে দেখছে তা তাদের কাজে প্রমান পাচ্ছে। আজ সকালেই ১০৫নম্বর ওয়ার্ডে একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে  এলাকায়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা নিজেদের সর্ব শক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’  

Comments :0

Login to leave a comment