রবিবার সকাল থেকে জনস্রোতের সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতা। আগাম প্রস্তুতির সেই ছবির দেখা মিলতে শুরু করেছে শনিবার সন্ধ্যাবেলা থেকেই।
ইতিমধ্যেই দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে ডিওয়াইএফআই কর্মী-সমর্থক সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্তের বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা শনিবার সকাল থেকে কলকাতায় ঢুকতে শুরু করে দিয়েছেন। ওয়াই চ্যানেলের সামনে শিবির করে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্রিগেডের মূল মঞ্চের পিছনেও তাবু তৈরি করা হয়েছে কর্মী সমর্থকদের জন্য।
জেলা থেকে আসা বাম কর্মী সমর্থকদের থাকা এবং খাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন কলকাতা জেলার যুব এবং সিপিআই(এম) নেতৃত্ব। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ওয়াই চ্যানেলের শিবিরে দম ফেলার ফুরসত নেই। কলকাতার একের পর এক অঞ্চল থেকে ব্রিগেডে আসা জনতার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে খাবার। অঞ্চলগুলির সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়িতে তৈরি করেছেন ব্রিগেডে আসা মানুষের জন্য খাবার। স্বেচ্ছাসেবকরা সেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ওয়াই চ্যানেলের শিবিরে।
শিবিরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। ব্যস্ততার মধ্যেই তিনি জানালেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ২০ হাজার প্যাকেট চলে এসেছে। আরও আসছে। মানুষও আসছেন। রাত্রি যত বাড়বে, তত মানুষের ভিড় বাড়বে।’’
কলকাতা জেলার সিপিআই(এম) নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ওয়াই চ্যানেল এবং ব্রিগেডের মাঠের পাশাপাশি মহাজাতি সদনের পাশে একটি ধর্মশালাতেও ব্রিগেডে আসা কর্মী সমর্থকদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওয়াই চ্যানেলের শিবিরে মূলত উত্তরবঙ্গ এবং মুর্শিদাবাদের কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন। লালগোলা প্যাসেঞ্জার, রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ট্রেনগুলিতে করে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে রাতের ট্রেনগুলি করে কলকাতায় আসার ছবি। জেনারেল এবং স্লিপার কামরাগুলিতে কার্যত তিলধারণের জায়গা নেই।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রবীন্দ্র সদন, এক্সাইডের সামনেও দেখা মিলেছে ব্রিগেড মুখী জনতার। ১০-১৫জনের দলে ভাগ করে ব্রিগেডের দিকে হাঁটার ছবি মোবাইলের ক্যামেরাবন্দী হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
Comments :0