মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ভাঙড়ে বেনজির সন্ত্রাস চালায় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। এমনকি গুলিও চলে তাতে মৃত্যু হয় ১ আইএসএফ কর্মীরও। এছাড়াও মুহুর্মুহু বোমাবাজী ও গুলির শব্দ শোনা যায়। তারপরেও কমিশনের কাছে অশান্তির কোনও রিপোর্ট দেয়নি পুলিশ। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে চরম বাধার মুখে পড়তে হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও বিডিও অফিস ঘিরে রেখে পাহারা দেয় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। এই নিয়ে বারবারই অভিযোগ করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী। তার অভিযোগ বাধার মুখে পরে বহু বামপন্থী ও আইএসএফ প্রার্থীই মনোনয়ণ জমা করতে বাধ্য হন দুপুর তিনটের পর। ফলে এই সময়কে হাতিয়ার করেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের একের পর এক মনোনয়ন বাতিল করছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পরে মনোনয়ন জমা পড়েছে এই দাবি করে ভাঙড় দুইয়ের পঞ্চায়ত সমিতির ৩০টির মধ্যে ১৪ টির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। একাধি আইএসএফ কর্মীর মনোনয়ন বালিত করা নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে যাচ্ছেন বলে জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী। কমিশনের কাছে তৃণমূল অভিযোগ করে যে বামফ্রন্ট ও আইএসএফ প্রার্থীরা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে মনোনয়ন জমা করেছে। তারপরেই বিরোধীদের একের পর এক মনোনয়ন বাতিল করছে কমিশন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় হুমকি, বোমা, গুলি উপেক্ষা করেও মনোনয়ন জমা করতে গিয়েছিল বামফ্রন্ট ও আইএসএফ প্রার্থীরা। কিন্তু তৃণঙূলের সসস্ত্র গুন্ডা বাহিনীর মুখে পরেই তারা নির্দিষ্ট সময়ে পরে মনোনয়ন জমা করতে বাধ্য হন একতা হাইকোর্টে জানাবেন নৌশাদ
Comments :0