MD SALIM

বাংলাদেশকে দেখিয়ে ভোটের জন্য মেরুকরণে ধিক্কার সেলিমের

রাজ্য কলকাতা

রাজ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি বিদেশি প্রতিক্রিয়ার শক্তি সক্রিয়। এরাই ধর্মীয় আবেগকে ভোটবাক্সে টানার জন্য উত্তেজনা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ঘিরে উগ্র দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। 
বুধবার মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেছেন, কর্পোরেট মিডিয়ার একটি অংশ আগুনে ঘি দিচ্ছে। কিন্তু যে আগুন ছড়ায়, ঢাকায় দেখেছি, প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রও তা থেকে বাদ যায়নি। 
এই প্রসঙ্গেই কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক বোঝাপড়ার উল্লেখ করেন সেলিম।
এদিন মুর্শিদাবাদে জেলাশাসকের দপ্তর অভিমুখে ডিওয়াইএফআই’র মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। আটক করা হয়েছে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার এবং সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেলিম এই আচরণে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। 


এদিন, ওয়াকফ আইন সংশোধন, ওবিসি বঞ্চনা, কাজের অধিকারের মতো দাবি নিয়ে এই কর্মসূচিতে নামে ডিওয়াইএফআই।
সেলিম বলেছেন, যুবরা দমে যাচ্ছেন না। মুক্তির দাবিতে বহরমপুর থানা ঘেরাও চলছে। 
গত মঙ্গলবার কলকাতায় রাজভবন অভিযান করেছে খেতমজুর, কৃষক এবং গ্রামীণ শ্রমজীবী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। সেলিম সেই কর্মসূচিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই হলেই তাকে ভাগ করতে নামা হচ্ছে। 
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকারের কোনও নির্দিষ্ট ভূমিকা নেই। বিশ্বগুরু বলে সারা বিশ্ব ঘুরে বেরিয়েছে। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতি যার প্রভাব পড়ে সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। বাংলাদেশে আমাদের দূতাবাস বন্ধ করে রেখেছে। মাঝে মাঝে ডেকে কথা বলছে, কী বলছে কেউ জানে না। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের ওপর আক্রমণ, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই প্রধানমন্ত্রীর।  
এদেশে সরকারে আসীন বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারকেও বাংলাদেশকে ঘিরে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য দায়ী করেন তিনি। সেলিম বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। তাতে সাম্রাজ্যবাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়ছে। ঋক প্রশ্নে তিনি বলেন,  সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা না বলে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ভূমিকা নেওয়া যায় না। 
আরেকটি প্রশ্নে তিনি বলেন, তৃণমূল  এমন কোনও কাজ করবে না যা আরএসএস’র গেমপ্ল্যানের বাইরে। কাকুর গলার স্বর পেয়েও তার থেকে দূরে হাত যায় না ইডি, সিবিআই’র। তাই ওয়াকফ আইন পিছনের দরজা দিয়ে, ওবিসি-এ বানচাল করা এসব তো আরএসএস’র গেমপ্ল্যান। এসআইআর বলেছিলেন মৃতদেহের ওপর দিয়ে। মিথ্যা বলেছিলেন। ডায়মন্ডহারবারে এই সিইও সব মৃতদের নাম বাদ দিয়ছে, সব ভুয়ো নাম বাদ দিয়েছে? সবচেয়ে বেশি একতরফা ভোট কোথায় হয়, কোথায় বিরোধীশূন্য করা হয়েছে? সেই ডায়মন্ডহারবারে। এই সিইও’র বদান্যতাতেই হয়।

Comments :0

Login to leave a comment