উদ্বেগে দিন কাটছে কলকাতায় চিকিৎসা করতে আসা বা লেখা পড়ার জন্য আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ। আওয়ামী লিগের নেতা কর্মীদের ওপর হামলার পাশাপাশি হামলা চলছে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপরেও। ভাঙা হচ্ছে মুজিবুর রহমানের মূর্তি। এই পরিস্থিতিতে সেই থাকা পরিবার পরিজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না অনেকে। অনেকে জানেন না কিভাবে ফের দেশে ফিরবেন, তাদের ভবিষ্যৎ কি।
পিটিআইকে কলকাতায় থাকা জুয়েল ইলিয়াস জানিয়েছেন, ‘‘আমরা এই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিলাম কিন্তু হিংসা নয়। গণঅভ্যুত্থানের নামে যা চলছে তা চরম উন্মাদনা। এটার শেষ হতে হবে। আমাদের মতো লোকেদের জন্য যারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে অনেক দূরে, আমরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ’’
মায়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসা তৌসিফ রহিম সেই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ করতে হবে। কারণ এটি আমাদের সারা বিশ্বে খারাপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের মানুষ চাকরি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাস করে এবং সেখানে একটি প্রতিক্রিয়া হতে পারে।’’
৩৫ বছর বয়সী মহম্মদ মোস্তাক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, তার বাবার চিকিৎসার জন্য তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। গত ২০ দিন ধরে তারা কলকাতায় আটকে ঢাকায় পরিবারের লোকদের সাথে সব সময় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইমরান আলি মানিক। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছেন লেখা পড়ার জন্য। তিনি জানাচ্ছেন তার পরিবার আওয়ামী লিগের সমর্থক। যাদের ওপর গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার আক্রমণ চলছে। তিনদিন খুলনায় থাকা পরিবারের সদস্যদের সাথে তার কোন কথা হয়নি বলে পিটিআইকে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে অশান্তির কারণে আন্তঃসীমান্ত পরিবহন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ইস্টার্ন রেলওয়ে ঘোষণা করেছে যে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, গত ১৯ জুলাই থেকে বন্ধ। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চালু করা হবে না।
একইভাবে ২১ জুলাই থেকে স্থগিত দ্বি-সাপ্তাহিক কলকাতা-খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস। বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে বাস পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।
Comments :0