Ram Chandra Dom

আর্থিক ভাবে দুর্বলদের সহায়তা করছে না আইন, খেদ রামচন্দ্র ডোমের

জাতীয়

রামচন্দ্র ডোম

আর্থিক বিচারে দুর্বল অংশকে সহায়তা করছে না আইন সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন সিপিআই(এমপলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম 

তিনি গণশক্তিকে বলেছেনআইনের জন্য আনা বিলের বিরোধিতা প্রায় কেউ করেনি সংসদে কিন্তু তার প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না প্রকৃত দরিদ্র অংশ বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন 

দলিত শোষণ মুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, আর্থিক বিচারে দুর্বলদের মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে উচ্চবিত্তদের প্রয়োগের সময় এভাবে ঠিক হচ্ছে আয়ের সীমা ফলে দুর্বলরা বঞ্চিতই থাকছেন আইনের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ এই ইডব্লিউএস আইনের পক্ষে রায় দিয়েছে এই রায়তে উল্লেখ করা হয়েছে যে শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হবে

রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে যেই যেই শর্ত রাখা হয়েছে এই সংরক্ষণের জন্য তা কোন ভাবে একজন আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা মানুষদের পক্ষে যায় না লোকসভায় যে আইন পাশ করানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে বছরে ১০ লক্ষ টাকার নিচে আয় পাঁচ একরের কম জমি হলেই সংরক্ষণের আওতায় পড়বে সরকারের এই শর্তাবলি প্রমাণ করে দিচ্ছে এই আইন কোন ভাবে আসল লক্ষ্য পুরণ করছে না’’ 

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন যে, ‘‘মণ্ডল আন্দোলনের সময় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠে এসেছিল তা মাথায় রেখে ২০১৯ সালে এই আইন সংসদে আসে কিন্তু যাদের জন্য এই আইনের করার কথা হয়েছিল বাস্তবে বিজেপি সরকার তা করছে না আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের মানসিকতা স্বচ্ছ নয়’’ 

উল্লেখ্য সংবিধান অনুযায়ী সংরক্ষণের হার ৫০ শতাংশের নিচে হতে হবে এই কথাও বার বার উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেও সংবিধানের এই নিয়মকে মাথায় রেখেই সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে রামচন্দ্র ডোমের মতে এসসিএসটিওবিসিদের সংরক্ষণ যাতে কোন ভাবে ব্যাহত না হয় সেই দিকে নজর রাখা প্রয়োজন 

এই বিষয় তিনি মন্তব্য করেন যে, ‘‘সামাজিক এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উভয়ের সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করার জন্য সংবিধান সংশোধনের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সরকারকে তাই করতে হবে’’

Comments :0

Login to leave a comment