রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দেশের সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশে আটকে রাখার। কিন্তু খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার নাগালের বাইরে। তারফলে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারও বৃদ্ধি পেতে চলেছে অনেকটাই। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘স্টেট অফ ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ শীর্ষক রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের তরফে এই রিপোর্ট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে সেই প্রতিবেদনের লিঙ্ক শেয়ার করে সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বড়াই করেন। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। এরফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। তারফলে মূল্যবৃদ্ধি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।’’
ইয়েচুরি আরও যোগ করেছেন, ‘‘মোদিনোমিক্সের ফলে বেকারত্ব এবং জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। ধ্বংস হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।’’
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে লিখছে, ‘‘আগামী মাসগুলিতে আরবিআই মূল্যবৃদ্ধির আগাম অনুমান কিছুতেই ৪ শতাংশে বেঁধে রাখতে পারছে না। পেঁয়াজ, টমেটো, খাদ্যশস্য, চিনি’র মত খাদ্য পণ্যের দাম ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।’’
রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে সিপিআই বা ক্রেতা মূল্য সূচকের হার নেমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৮৭ শতাংশে। ক্রেতা খুচরো বাজারে যেই দামে জিনিস কেনে, সেই দাম এই সূচকে প্রতিফলিত হয়। স্বাভাবিক ভাবে খুচরো বাজারে দাম বাড়লে সিপিআই’র মানও বৃদ্ধি পায়। দাম কমলে উল্টোটা ঘটে।
সেপ্টেম্বর মাসে সিপিআই’র হার ছিল ৫.০২ শতাংশ। অক্টোবরে যথেষ্ট কমে। তখন আরবিআই আশা প্রকাশ করেছিল, সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের আশেপাশে নেমে আসতে পারে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে সিপিআই’র হার ছিল ৭.৪৪ শতাংশ, যা ছিল ১৫ মাসের মধ্যে সর্বাধিক। সবজী, বিশেষত টোমাটো’র মূল্যবৃদ্ধির ফলে এই অবস্থা হয়েছিল।
Comments :0