Sharad Pawar

শারদ পাওয়ারের দলের নাম বদলালো নির্বাচন কমিশন

জাতীয়

শারদ পাওয়ারের নাম থাকবে তাঁর দলের নামে। নির্নবাচন কমিশন এভাবেই নতুন নাম ঠিক করেছে। দলের নাম হবে ‘ন্যাশানলিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শারদচন্দ্র পাওয়ার’। পাওয়ার প্রতিষ্ঠিত ন্যঅশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি’তে বিভাজনের পর থেকে দলের নাম এবং প্রতীক নিয়ে বিবাদ বেঁধেছে। 

 নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বুধবার বেলা চারটের মধ্যে নতুন দলের নাম এবং প্রতীক নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেন শারদ পাওয়ার। মঙ্গলবার তাঁর দলের এনসিপি’র নামের ওপর অধিকার হারান মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর দলের নেতাদের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় উঠে এসেছে একাধিক নাম। যেমন শারদ পাওয়ার কংগ্রেস, এবং শারদ পাওয়ার স্বভিমানী প্রকাশ। নির্বাচন কমিশনে পাওয়ারের পক্ষ থেকে এই তিনটি নামের প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। দলীব প্রতীক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে সূর্যমুখি ফুল, আয়না এবং উদীয়মান সূর্য।

যদিও এনসিপির ওপর কার রাশ থাকবে এই নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

দলছুট অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে আসল এনসিপির তকমা দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। দল ভেঙে অজিত পাওয়ার যোগ দিয়েছেন বিজেপি’র জোটে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীও করা হয়েছে তাঁকে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, এখন থেকে আর ঘড়ি চিহ্নে ভোট লড়তে পারবে না শারদ গোষ্ঠী। সেটা থাকবে ভাইপো অজিত পাওয়ারের হেফাজতে। 

প্রসঙ্গত, এনসিপির একাংশের বিধায়ককে নিয়ে দলছুট হন শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। তাঁরা সমর্থন জানান বিজেপিকে। এর পুরষ্কার হিসেবে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ পান অজিত। 

দলে ভাঙনের পরে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী এবং শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী, উভয়েই নিজেদের আসল এনসিপি হিসেবে দাবি করে আসছিল। মঙ্গলবার সেই বিতর্কের নিষ্পত্তি করল নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এনসিপির দুই গোষ্ঠী দলীয় সংবিধান লঙ্ঘন করে বিভিন্ন কার্যকলাপ করেছে। একইসঙ্গে দুই তরফই আভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বহু নিয়ম মানেনি। কিন্তু পরিষদীয় দলের সিংহভাগ সদস্যের সমর্থন অজিতের পক্ষে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী এবং বিজেপির জোট সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন অজিত পাওয়ার। দলের নির্দেশ অমান্য করেই এই কান্ড ঘটান তিনি। শিবির বদলের আগে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা ছিলেন অজিত পাওয়ার। পরবর্তীকালে পঞ্চম বারের জন্য রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অজিত। 

এর পরেই দলের সভাপতি পদ থেকে পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং নিজের কাকা শারদ পাওয়ারকে বরখাস্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে আসল এনসিপি হিসেবে স্বীকৃতির জন্য অজিত শিবিরের তরফে লিখিত আবেদন করা হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। 

প্রসঙ্গত, একই কায়দায় বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে ভাঙিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে বিজেপি। এনসিপি ইস্যুর মত শিবসেনা ইস্যুতেও বিজেপি সহযোগী একনাথ গোষ্ঠীর শিবসেনাকে আসল শিবসেনার স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। দলের নির্বাচনী প্রতীক হারান বাল ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment