Hingolgunj

নির্বাচন পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বসিরহাট মহকুমা জুড়ে

রাজ্য জেলা

দশম ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাকমূহুর্ত থেকে এবং নির্বাচন পরবর্তী বসিরহাট মহকুমা জুড়ে হিংসা অব্যাহত। সর্বত্র সন্ত্রাসের বাতাবরণে আতঙ্কিত গ্রামীণ জনজীবন। শনিবার তেমনি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলো হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গোবিন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে মালেকানাঘুমটির ২১৫নং বুথে। আক্রান্ত হলেন সিপিআই(এম)'র কর্মীরা। আগুন লাগিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মোটরবাইক,টোটো। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীদের দিকে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন সিপিআই(এম) হিঙ্গলগঞ্জ দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক রবি বিশ্বাস। এদিন এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, নির্বাচনের প্রাকমূহুর্ত থাকে তৃণমূলের দুর্বৃত্তরা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গত ৮ জুলাই নির্বাচনের দিন হিঙ্গলগঞ্জের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় তান্ডব চালিয়ে ছাপ্পা ভোট দেয় তৃণমূল আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।রূপমারি পঞ্চায়েতের হলদা গ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ছাপ্পা ভোট দিতে এলে গ্রামবাসীরা তাকে ধরেও ফেলে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের বেআব্রুতার কারণে বুথে বুথে চলে ছাপ্পা ভোট।


১১জুলাই গননাকেন্দ্রে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে তান্ডব চালায়।হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের ১১০নং বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী আসমা বিবি ও তার এজেন্ট জাফর সরদারকে পুলিশের সামনে মারতে মারতে বের করে দেয়। গননার দ্বিতীয় রাউন্ডে আসমা বিবি ১৭৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। শনিবার রাতেও তৃণমূলের হামলার শিকার হলো গোবিন্দকাটির ২১৫নং বুথের পার্টি কর্মী সমর্থকরা। রাতের অন্ধকারে পার্টির কর্মী, সমর্থকের বাড়িতে ঢুকে মোটরবাইক ও টোটোতে আগুন ধরিয়ে দেয় তৃণমূলের দুর্বৃত্তবাহিনী।


পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই গোবিন্দকাটির ২১৫নং বুথ এলাকায় সিপিআই(এম) প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, মেরে ফেলার হুমকি সহ নানা রকম অত্যাচার চালিয়ে আসছে। গত ২ জুলাই এই ২১৫ নং বুথের বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী চন্দনা মন্ডলকে রাতের অন্ধকারে লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।তার মাথায় আটটা সেলাই দিতে হয়। চন্দনা মন্ডল বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে ফের তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। সেই সময়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জানানো হয় পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। যদিও অভিযুক্তরা আজও অধরা। শনিবার রাতে ফের ওই একই বুথে চন্দনা মন্ডলের হয়ে যারা
প্রচার করেছিল সেই সন্তু মন্ডল ও রমেশ হালদারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা ঢুকে মোটরসাইকেল ও টোটো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুটি গাড়ি আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এদিন তিনি জানান গোটা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক জুড়ে নির্বাচন পরবর্তী বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের দোকান,বাড়িতে তালা দিয়ে দেওয়া, জমির চাষ বন্ধ করে দেওয়ার মতো একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে। স্বাভাবিক জনজীবনকে অশান্ত করে তুলছে। অবিলম্বে ব্লক জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

Comments :0

Login to leave a comment