GAZA Ceasefire

বিপন্ন শিশুরা, যুদ্ধবিরতি ভাঙছে ইজরায়েল, ফের সংঘর্ষের শঙ্কা গাজায়

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চললেও খাদ্য পাচ্ছে না গাজার শিশুরা। নেই এমনকি পানীয় জল। চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রায় নেই। এলাকা ঘুরে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি জানিয়েছে ইউনিসেফের প্রতিনিধিদল।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সি হওয়ার পরও বারবার শর্ত ভাঙছে ইজরায়েল। ১৯ জানুয়ারির পর থেকে ২৬৬ বার সামরিক হামলা হয়েছে গাজায়। ১৩২ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েলের আমরিক বাহিনী।
এর মধ্যেই ফের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধচে আরব দুনিয়ায়। যুদ্ধবিরতির পরের পর্ব কী হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে ইজরায়েল এবং আমেরিকার মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ অনুযায়ী গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের তাড়ানোর বন্দোবস্ত শুরু করতে পারে ইজরায়েল। সেক্ষেত্রে প্রতিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস-ও সক্রিয় হবে। ফের পুরোদমে সংঘর্ষের মুখে পড়তে পারে গাজা।
লক্ষ্যণীয়, মঙ্গলবারই সৌদি আরবের রিয়াধে শুরু হয়েছে আমেরিকা এবং রাশিয়ার বিদেশসচিব-বিদেশমন্ত্রী স্তরের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা। যার প্রধান বিষয় ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়ে রেখেছেন যে গাজা সহ গোটা আরব ভূখণ্ডে শান্তি এবং সুস্থিতির প্রশ্নে আমেরিকার পরিকল্পনাও টেনে আনা হতে পারে আলোচনায়।
ইউনিসেফ জানিয়েছে গাজায় ভয়াবহ সঙ্কটে রয়েছে ১১ লক্ষ শিশু-কিশোর। জল-খাদ্য-চিকিৎসা তো নেই-ই এমনকি জামাকাপড় গায়ে দেওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। নিরাপদে ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। ইজরায়েলের সেনা নানা জায়গায় অবরোধ তৈরি করছে। 
গাজার প্রশাসন বলেছে, যুদ্ধবিরতির একের পর এক শর্ত অমান্য করে চলেছে বেপরোয়া ইজরায়েল। বাসস্থান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দারা ফেরার সময় চালানো হয়েছে গুলি। উত্তর গাজায় নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। রাফায় একাধিক জনবসতিতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বসত বাড়ি।

Comments :0

Login to leave a comment