বাংলাদেশ জুড়ে মৌলবাদীদের যেই হামলা চলছে তার সমালোচন করলো মুহাম্মদ ইউনুস সরকার। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য বুধবার রাত থেকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। আগুন লাগানো হয়েছে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধাভবনেও। আর এই গোটা ঘটনা যখন হচ্ছে তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখেছে বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর আধিকারিকরা। আন্দোলনকারিদের কোন বাধা দেওয়া হয়নি বলে সেই দেশের সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সামাজিকমাধ্যঙে বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারিরা জানাচ্ছেন তাদের এই কাজে কোন বাধা দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমনকি তারা এও জানিয়েছে যে তাদের পরবর্তী লক্ষ টুঙ্গিপাড়া। যেখানে সমাধিস্ত করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রাণ এবং সম্পত্তি রক্ষায় প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার। উস্কানিমূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করবে আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী। দোষীদের বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।’’
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করা হয় বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে এই হিংসার জন্য দায়ি করা হয় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। দাবি করা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি যেই বক্তব্য রেখেছেন তার থেকে এই প্ররোচনা ছড়িয়েছে।
গত ৫ জুলাই শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই লাগাতার অশান্তি চলছে। ভাঙতে দেখা গিয়েছে মুজিবের মূর্তি। ৫ ফেব্রুয়ারি কার্যত বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে দেওয়া হলো মুক্তিযুদ্ধের সব চিহ্ন এমনটা মনে করছেন অনেকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘এই হামলা শুধু একটা বাসভবনের ওপর নয়, শুধু মুজিবর রহমানের স্মৃতির প্রশ্ন জড়িয়ে আছে তা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চিহ্ন গুলো আছে তার ওপর আক্রমণ চলছে। যারা বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়, শেষ করতে চায় তারাই এই হামলা চালাচ্ছে। ইতিহাসের ওপর এই আক্রমণের চেহারা আমরা এই দেশেও দেখছি। যে কোন প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ যুক্তিবাদী শক্তিকে ইতিহাসের ওপরে আক্রমণের প্রতিবাদ জানাতে হবে। আমরা সিপিআই(এম) গোড়া থেকে এই ধরনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি। তবে সেই সঙ্গে মনে রাখা ভালো এই ধরনের উগ্র-দক্ষিণপন্থী আক্রমণে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।’’
Comments :0