আবারও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো রাজ্যে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিউ আলিপুরের ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে শনিবার। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সুস্মিতা দত্ত (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁর বাড়ি নিউ আলিপুরের ১১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর শরীরে। ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ায় গত ৩১ অগস্ট নিউ আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্তিতি আরো জটিল হলে সেখান থেকে তাকে ল্যান্সডাউনের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয়। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে।
গত ৩ মাস ধরেই কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মিলছে। কলকাতা কর্পোরেশন থেকে মাঝেমাঝে ঢাকঢোল পিটিয়ে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন ও সাফাই করার প্রচার চলে। কিন্তু তাতে কোনও কাজের কাজ হয় না বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীদের। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলী, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ডেঙ্গু বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। কলকাতায় বিভিন্ন হাসপাতালেও বহু ডেঙ্গু রোগী ভর্তি বর্তমানে। অথচ ডেঙ্গু নিয়ে কোনও হেলদোল নেই রাজ্য সরকারের। প্রকৃত কোনও তথ্যই সামনে আসছে না।
রাজ্যবাসীর বক্তব্য, যখন ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হচ্ছে তখন সেই এলাকায় সাফাই কাজে তৎপরতা চোখে পড়ছে। দু’দিন পর আবার যে কে সেই। ক্রমশ ডেঙ্গু কবলিত হয়ে পড়ছে রাজ্যের একের পর এক জেলা। সরকারের তরফে কোনও পরিসংখ্যান নেই, বিভিন্ন বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু পজিটিভের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ওদিকে ১৮ পেরিয়েছে মৃত্যু সংখ্যা। বেসরকারি মতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা আরও বেশি।
Comments :0