বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। সন্ধ্যার পর শুরু হল কালবৈশাখী। তার পরেই ঝেঁপে বৃষ্টি। রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও আবার শীলা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার সময় ঘন্টা খানেকের বেশি সময় ধরে এই ঝড়বৃষ্টি চলে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে উপর্যুপরি তিন দিন গত শনি, সোম ও বৃহস্পতিবারের ঝড় বৃষ্টির দাপটে হুগলীর জেলার কৃষি বলয়ে ধান সহ সব ধরনের সবজি ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাগিচা ফসল আম, লিচু, পেঁপে , পান সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতির মুখে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও প্রচুর শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এত ঘন ঘন ঝড় বৃষ্টির দাপটে চাষবাসের বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিল, পাট, বাদাম, সহ পটল, ঝিঙে ইত্যাদি বিভিন্ন সবজি ফসল নষ্ট হচ্ছে। বহু সবজি ফসলের জমিতে মাচা ভেঙে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। গোটা জেলার বিস্তীর্ণ কৃষি বলয়ে এই সময়ে নানান ধরনের সবজি ফসলের চাষ হয়। তিন দিন পর পর ঝড়বৃষ্টির প্রকোপে সেই সব সবজি ফসলের চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় জেলার চাষবাস সঙ্কটে। এদিন সন্ধ্যায় শুধু কলকাতা ও হুগলী জেলায় নয় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে রাত বাড়লে। কলকাতা ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। রবিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
Comments :0