"আইনজীবীর চিঠি নিশ্চই যাবে", জমি বিতর্কে এবার স্পষ্ট এই প্রতিক্রিয়া দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যর ব্যবহারে তাঁর অসন্তোষও প্রকাশ করলেন এই অর্থনীতিবিদ।
বৃহস্পতিবার অমর্ত্য সেনের 'প্রতিচী' বাড়িতে যান বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-অধ্যাপকেরা৷ বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকলাপ তুলে ধরেন৷ নানান প্রশ্ন করে পড়ুয়া-অধ্যাপকদের কাছ থেকে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি জানতে চান অমর্ত্য সেন৷ এরপর তাঁর কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খোলেন।
কথোপকথনে অমর্ত্য সেন বলেন, "পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। কিভাবে এর সমাধান হবে ভেবে পাচ্ছি না। আমারও পিছনে লেগেছে৷" এরপর সেখানে উপস্থিত অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, "দিল্লির কাছে ভালো হওয়ার জন্য উনি (উপাচার্য) আপনার জমি ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে।" প্রত্যুত্তরে হাসি মুখে অমর্ত্য সেন বলেন, “হ্যাঁ, দিল্লির কিছু লোক আছেন যারা আমাকে পছন্দ করেন না। আপনারা প্রতিবাদ করে যান। কি আর করা যাবে।”
কথোপকথন শেষে বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেন, "আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ছি। চিন্তা ভাবনার অভাবটা কত বড় হতে পারে। এটা মনে করা কঠিন নয়, এখানে সুবিচার হচ্ছে, নাকি অবিচার হচ্ছে।"
জমি প্রসঙ্গে তিনি তাঁর অবস্থান জানিয়ে বলেন, "কেউ যদি আপনার বাড়িতে এসে বলে এটা আমার জমি৷ আমরা তো সবাই বলতে পারি৷ আমিও তো উপাচার্যের বাড়িতেই যেতে পারতাম। বলতাম এই ঘর, এটায় আমার পিতামহ থাকতেন৷ কিছু লোককে আনিয়ে মাপতে চাই। কার কোন অংশটা৷ আমি তো বলতেই পারি। কিন্তু, সেটা তো আমি বলব না। বিষয় হচ্ছে, উনি যে ব্যবহার করেন, অন্য কেউ সেটা করবে না৷ তবে উকিলের চিঠি একবার গেছে। আরেকবার নিশ্চই যাবে।"
Comments :0