বইকথা
শ্রেষ্ঠ লেখকের সেরা গোয়েন্দা গল্প:কিশোর মনে রহস্যের হাতছানি তৈরি করে
সৌরভ দত্ত
নতুনপাতা
বিদেশি সাহিত্যে আর্থার কোনান ডায়েল,আগাথা ক্রিস্টির গোয়েন্দা গল্প জনপ্রিয়।বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা গল্পের জুড়ি মেলা ভার। গোয়েন্দা কাহিনি শুধু ছোটদের নয় বড়দের মনেও তুমুল আকর্ষণ করে।এই সংকলনে বেশ কিছু গল্প স্থান পেয়েছে যেগুলো যুক্তি-তর্ক দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সংকলনটিতে স্থান পেয়েছে নতুন কয়েকজন গল্পকারের রচনা। গল্পগুলি পড়ে পাঠক তার বুদ্ধিমত্তায় নতুন করে স্থান দিতে পারবেন। বইয়ের প্রথম প্রখ্যাত গোয়েন্দা গল্পকার হেমেন্দ্রকুমার রায়ের–‘এক রত্তি মাকড়শা ’। যেখানে ইনপেক্টার সুন্দর বাবু একটি পাড়ায় তদন্তে এসেছেন।জয়ন্তের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতে চান। জয়ন্ত জিজ্ঞাসায় জানা যায়–‘কাল এই বাড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে,তার সঙ্গে রয়েছে হত্যার চেষ্টা।’শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোহার বিস্কুট গল্পটি বেশ অন্যরকম।গল্পের শুরু কমলবাবুর জীবনের একটি সমস্যা দিয়ে।‘সমস্যা।’ ব্যোমকেশ সিগারেটের কৌটো এগিয়ে দিয়ে বলল,‘বলুন, অনেকদিন ও বস্তুর মুখ দর্শন করিনি।’এসব কথা হচ্ছিল ব্যোমকেশ এর কেয়া তলার বাড়িতে বসে। গল্পের শেষে দেখা যায় –“ব্যোমকেশ বলল, সাতান্নটি লোহার মোড়ক,প্রত্যেকটি মোড়কের মধ্যে দুটি করে সোনার বিস্কুট,প্রত্যেকটি বিস্কুটের ওজন পঞ্চাশ গ্রাম।কত দাম হিসেব করে দেখা। সত্যবতী কেবল একটি নিঃশ্বাস ফেলল।” বইয়ের অন্যতম গল্প প্রেমেন্দ্র মিত্রের –‘পরাশরবর্মা ও ভাঙ্গা রেডিও ‘।কথককে –‘পরাশরের পেড়াপেড়িতে রবিবারটা থেকে যেতে হয়েছে।’আশাপূর্ণা দেবীর ‘রহস্যের সন্ধানে’ গল্পটিও অনবদ্য ।গল্পের বর্ণনা প্রাণবন্ত –‘পুরনো পুরনো সেই আলমারিগুলো খুললেই কেমন একটা চাপা চাপা ভ্যাপসা ভ্যাপসা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে,বাসুর দারুন ভালো লাগে।’রহস্য ঘনীভূত হয়। সংকলনে স্থান পেয়েছে–নীহাররঞ্জন রায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ,দুলেন্দ্র ভৌমিক, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখের উল্লেখযোগ্য গোয়েন্দা গল্প।যা কিশোর মনে বেশ দাগ কাটে।
গ্রন্থনায়:-শ্রেষ্ঠ লেখকের সেরা গোয়েন্দা গল্প
সম্পাদনায়: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
প্রকাশক:-বসাক বুক স্টোর
প্রচ্ছদ:অঞ্জন বোস
অলংকরণ:-পল্লব পুততুণ্ড,রাজা চন্দ
Comments :0