শরীরের ক্ষত যন্ত্রণা আর বাঁচতে দিল না আপালচাঁদ জঙ্গলের মাকনা হাতিটিকে। একমাস ক্ষত যন্ত্রনায় ব্যাথা সইতে সইতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে। বৈক্নঠপুর ডিভিসনের বনাধিকারিক রাজা এম একথা জানিয়েছেন। জঙ্গলের তিন নম্বর কম্পার্টমেন্টে মারা যায় হাতিটি। হাতিটির ঠিকমত চিকিৎসা করেনি বনদপ্তর এই অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী ও পরিবেশ সংস্থার কর্নধাররা। পরিবেশ প্রেমী অনির্বান মজুমদার সরাসরি হাতিটির মৃত্যুর জন্য বনবিভাগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন,‘‘ঘুম্পাড়ানী গুলি করে হাতিটিকে চিকিৎসা করা যেত।’’ যদিও বনবিভাগ দাবি করেছে চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিলনা। গরুমারা বন্য প্রাণ বিভাগের ও বেঙ্গল সাফারির প্রাণী চিকিৎসকরা হাতিটির দায়িত্বে ছিলেন। বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডিএফও রাজ এম জানান, জখম অবস্থায় দেখার পর তার চিকিৎসা চলছিল। তাকে খাবারও দেওয়া হচ্ছিল। সাড়াও দিচ্ছিল হাতিটি। ঘুম্পাড়ানি গুলি করে চিকিৎসার ব্যবাস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু বার বার একটি শাবক হাতি সামনে আসায় সেই কাজ সম্ভব হয়নি। রবিবার বিকালে হাতিটি মারা গেল। আজ সোমবার তার দেহের ময়না তদন্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য; গত ২৩ নভেম্বর গজলডোবাগামী রাস্তার পাশে একটি ঝোড়ার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় হাতিটিকে।শরীরের ক্ষততে পোকামাকড় এবং মাছির থেকে রেহাই পেতে জলে নেমে থাকতে দেখা যায় হাতিটিকে। এরপর স্থানীয়রাই রেঞ্জ অফিসে খবর দেন। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তাদের প্রাথমিকভাবে অনুমান ছিল, অন্য কোনও হাতির সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। বনবিভাগ হাতিটির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে। বৈক্নঠপুর ডিভিসনের বনাধিকারিক জানান, দেহে ক্ষত থাকার কারণেই হাতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতির দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তবেই হাতিটির মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
Comments :0