হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি। তিনি একজন ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যের উপর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে আসছেন। ২০২০ সালে করোনার সময় প্রথম তার শুরু হয় ইংরেজি ভাষায় কবিতা লেখা। সেই থেকেই একের পর এক লেখা লিখে চলেছেন তিনি। তার লেখা কবিতার মধ্যে উঠে এসেছে কখনো সাম্রাজ্যবাদের কথা, কখনো উঠে এসেছে সমাজের নিপীড়িত শোষিত মানুষদের কথা, আবার কখনো উঠে এসেছে ভালোবাসার কথা। নিজের লেখা কবিতাকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মনে করেন লেখিকা প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি।
ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চায় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে ইংরেজিতে তার রচনা সাহিত্য জগতে উপেক্ষিত। বেঁচে থাকলে আজ হয়তো তিনি খুবই আনন্দিত হতেন। কারণ ইংরেজিতে কবিতা লিখে সারা বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি। তাঁর লেখা কবিতা "ওথ" বিশ্বের ১০১ টি দেশের কবিদের পিছনে ফেলে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছেন।
সম্প্রতি ওমানের মাসকাটে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন। মোটিভেশনাল স্ট্রিপস, আতজিত বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় লেখক ফোরাম "বি এ স্টার গ্লোবাল পোয়েট্রি চ্যাম্পিয়নশিপ"-২৩ । এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল সারা বিশ্ব থেকে ১০১ টি দেশের কবিরা। সেখানেই বাকি সবাইকে ছাপিয়ে বাংলার তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি। কলকাতার দুই কবি প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জী এবং কবি ইপ্সিতা গাঙ্গুলী প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব কবিদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরে কবিতা পরিবেশন বিভাগে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
বাংলা ছেড়ে কেন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পড়ে বড় হয়েছেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যচর্চার সঙ্গে জড়িত থাকতে থাকতে তিনি ইংরেজি ভাষার প্রেমে পড়ে যান সেই থেকেই শুরু হয় তার ইংরেজিতে লেখালেখি করা। প্রথমে তিনি ইংরেজিতে শুধু কোড লিখতেন পরবর্তীতে সেই কোড আকার নেয় গোটায় দস্তুর কবিতার।
প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হওয়ার পরেও তার মনে হয় ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চার এখন তার বুনিয়াদি স্তরে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। আগামী দিনে তার লেখা বিশ্বের মানুষের দরবারে আরও বেশি পৌঁছাবে বলে আশাবাদী তিনি।
Comments :0